স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘সোলো: আ স্টার ওয়ারস স্টোরি’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে ২৫ মে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ‘সোলো: আ স্টার ওয়ারস স্টোরি’।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2018, 11:22 AM
Updated : 24 May 2018, 11:22 AM

হলিউডের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ‘স্টার ওয়ারস’-এর কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। দারুণ জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি চরিত্র হান সোলো। তাকে নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘সোলো: আ স্টার ওয়ারস স্টোরি’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রন হাওয়ার্ড। চিত্রনাট্য লিখেছেন জোনাথন কাসডান ও লরেন্স কাসডান। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে।

ছবিটি নির্মাণের সময় যা ঘটেছে তা সিনেমার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। কয়েক মাস শুটিং হয়ে যাওয়ার পর পরিচালক ফিল লর্ড ও ক্রিস্টোফার মিলারকে বাদ দিয়ে রন হওয়ার্ডকে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। যার কারণে ছবিটি হুমকির মুখে পড়তে পারত। কিন্তু রন হাওয়ার্ড বলে কথা। দারুণভাবে সব সামলে নিয়েছেন তিনি। নিজের দক্ষতায় ছবিটিকে নতুন প্রাণ দিয়ে জাগিয়ে তুলেছেন।

হান সোলোর চরিত্রটির সৃষ্টি জর্জ লুকাসের হাতে। ছবিতে হান সোলোর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অলডেন এহরেনরেইখ। লিউক ও লেইয়ার সঙ্গে ঝগড়ার অনেক আগে থেকেই তরুণ হান (অলডেন এহরেনরেইখ) কোরেলিয়া গ্রহে চোরদের একটি আস্তানায় বাস করছিলেন। হান একদিন এক বোতল কোক্সিয়াম চুরি করে।

এ কোক্সিয়াম স্টারশিপের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত একটি মূল্যবান খনিজ। চোরদের নেতা লেডি প্রক্সিমাকে (লিন্ডা হান্ট) এ কোক্সিয়াম দেয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই। হান স্বপ্ন দেখে স্টারশিপের পাইলট হওয়ার।

অন্যদিকে হান আরেক চোর কি’রার (এমিলিয়া ক্লার্ক) প্রেমে পড়ে যায়। হান পরিকল্পনা করে কোক্সিয়াম ঘুষ দিয়ে সে কি’রাকে নিয়ে সেই চোরদের আস্তানা ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাবে। কিন্তু মুক্তি পেতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। হান বেরিয়ে যেতে পারলে কি’রা পেছনে রয়ে যায়। তিন বছর পর হানকে দেখা যাবে এক গ্রহে যুদ্ধে লিপ্ত। হান তখনও অপেক্ষা আছে কি’রাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার একটি সুযোগের জন্য। সেই সুযোগ আসে একদল চোরাকারবারির সঙ্গে তার পরিচয় হওয়ার পর।

এই চোরাকারবারিদের মধ্যে আছে বেকেট (উডি হারেলসন) ও তার স্ত্রী ভ্যাল (থানডি নিউটন), পাইলট রিও ডুরান্ট (জন ফ্যাভরিউ)। বেকেট হয়ে ওঠে হানের ওস্তাদ। এ নতুন দলের সঙ্গে হানের প্রথম অভিযান হল নতুন একটি গ্রহে গিয়ে ট্রেনভর্তি কোক্সিয়াম দখল করা।

কিন্তু লুটের মালপত্র হানদের হাতছাড়া হয়ে যায়। এ ঘটনায় তারা ড্রাইডেন ভস (পল বেটানি) নামের এক লম্পট গ্যাংস্টারের ঋণের জালে আটকে যায়। এ ড্রাইডেনের স্পেস-ইয়টে হান কি’রার দেখা পায়। নানা রহস্যময় ঘটনায় এই কি’রা তখন ড্রাইডেনের অন্যতম সেনাপতি।

এবার হান আর কি’রা মিলে খনির গ্রহ কেসেলে গিয়ে অপরিশোধিত কোক্সিয়াম চুরি করবে। তারপর সেগুলো সাভারিন গ্রহে নিয়া যাবে শোধনের জন্য। শেষটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে দর্শকদের।