নিজেদের সম্মান রক্ষা করতে রাজপুত রমণীরা আগুনে ঝাঁপ দিয়ে বা বিষ পান করে মৃত্যু বরণ করার ব্রত পালন করেন, একেই জহরব্রত বলে ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর, শনিবার সর্বসমাজের একটি বিশেষ বৈঠক হয় রাজস্থানের চিতোরগড়ে। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ জন। তাদের মধ্যে ১০০জন ছিলেন উচ্চ বংশীয় মহিলা।
ছবি মুক্তি পেলে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবে বলেই হুমকি করণি সেনা ।
এই দলের মুখপাত্র বীরেন্দ্র সিং ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১৭ জানুয়ারি চিতোরগড়ের আশেপাশে জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ করবে তারা ।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করবে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। সারা দেশেই এ ছবির মুক্তি বন্ধের আবেদন জানানো হবে।
একই দরবার করা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও।
যদি কোনও কিছুতেই সুরাহা না হয়, তাহলে ২৪ জানুয়ারি রাজপুত রমণীরা সম্মিলিতভাবে জহরব্রত পালন করবেন।
অন্যদিকে, এইসব বিতর্কের মধ্যেই ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভায়াক্কম এইট্টিন-এর সিইও সুধাংশু ভাট জানিয়েছেন, ‘পদ্মাবত’ আমাদের একটি মহান কাজ ।
সঞ্জয় লীলা বনসালি নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি যত বেশি সংখ্যক পর্দায়, বিভিন্ন ভাষায়, নানান ফরম্যাটে আগামী ২৫ জানুয়ারি ভারতে এবং ভারতের বাইরে মুক্তি দেওয়া হবে ।