সিএনএন জানায়, দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ‘মিস ইউনিভার্স’ আসরে অংশ নেন ইরাকি সুন্দরী সারাহ। ‘মিস ইউনিভার্স-২০১৭’-এর আসরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের দ্বৈত নাগরিক সারাহর সঙ্গে মিস ইসরাইল অ্যাডার গ্যান্ডলসম্যানের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। শত্রুতা ভুলে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই একসঙ্গে সেলফি তোলেন তারা।
ইন্সটাগ্রামে প্রকাশিত এ সেলফির ক্যাপশনে সারাহ লেখেন, “মিস ইসরাইল ও মিস ইরাকের পক্ষ থেকে সবাইকে শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা।”
কিন্তু সারাহ’র এ উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখেনি ইরাকি জনগণ। মিস ইসরাইলের সঙ্গে ছবি তোলায় অনলাইনে সারাহকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বেশ ক’জন ইরাকি নাগরিক। মিস ইরাক কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে ছবিটি মুছে না ফেলা হলে মিস ইউনিভার্স আসর থেকে বহিষ্কার করা হবে সারাহকে।
এরই মধ্যে ইরাকে সারাহ’কে নিয়ে শুরু হেয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। এ ঘটনার পরপরই নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে সারাহ’র মা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
হত্যার হুমকিতে ভয় পেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সেলফিটি মুছবেন না বলে জানিয়েছেন সারাহ। তার মতে, ইসরাইল সরকারের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন না তিনি। কিন্তু শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে কোনো অপরাধও করেননি তিনি।