গানে-স্মৃতিচারণে বারী সিদ্দিকীকে স্মরণ

কথা, গানে প্রয়াত সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকীকে স্মরণ করলেন তার সহযোদ্ধা ও অনুজ শিল্পীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2017, 03:07 PM
Updated : 13 Dec 2017, 03:07 PM

বুধবার বিকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির কফি হাউজে স্মরণসভার আয়োজন করে বারী সিদ্দিকী স্মরণ পর্ষদ।

পর্ষদের আহ্বায়ক নৃত্য ব্যক্তিত্ব আমানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ম. হামিদ, গীতিকবি শহীদুল্লাহ্ ফরায়জী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আহসান হাবীবসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদার বলেন, “বারী সিদ্দিকী শুধু শিল্পীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংগীতের সাধক। গানকে তিনি হৃদয় দিয়ে ধারণ করতেন, তার মতো গুণী শিল্পী এদেশে খুব কমই ছিল।”

আহসান হাবীব বলেন, “লোক সংগীতের সঙ্গে ক্ল্যাসিক্যালের অনন্য মিশ্রণে এদেশের লোক সংগীতের এক ভিন্ন মাত্রা দান করেছিলেন গুণী এই শিল্পী।  বাঁশিতে তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে যেভাবে তুলে ধরেছেন তা খুব কম শিল্পীই পারে। আধ্যাত্মিক চেতনার সাথে লোকসংগীতের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটাতে পেরেছিলেন তিনি।”

স্মৃতিচারণের পর সাংস্কৃতিক পর্বে বারী সিদ্দিকীর জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

জাদুঘরে
মুক্তিযুদ্ধের
গান
,
স্মৃতি
রোমান্থন
কবিতা
পাঠ
অনুষ্ঠান

বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে বুধবার বিকালে জাতীয় জাদুঘরে আয়োজন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের গান, স্মৃতি রোমান্থন ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে যুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। মুক্তিযুদ্ধের গান করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদ এবং বিজয়ের কবিতা পাঠ করেন বিশিষ্ট কবিরা।

অনুষ্ঠান শুরু হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদের গানের সাথে।

রফিকুল ইসলাম একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বরের কথা দিয়ে শুরু করেন তার স্মৃতি রোমন্থন।

সবশেষে মুহাম্মদ নূরুল হুদা, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কামাল চৌধুরী, শিহাব সরকার, অসীম সাহা, কাজী রোজী, মান্নান মোহাম্মদসহ বিশিষ্ট কবিরা মুক্তিযুদ্ধের উপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।

ঢাকায় শুরু হচ্ছে নৃত্যনাট্য উৎসব

১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় শুরু হবে তৃতীয় জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব। রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় পাঁচ দিন চলবে উৎসব। 

বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা ও শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করছে। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে সংস্থার উপদেষ্টা প্রয়াত নৃত্যশিল্পী রাহিজা খানম ঝুনুকে।

বুধবার সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত জানান বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মীনু হক।

১৮ ডিসেম্বর সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসবের
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের শিল্পীরা পরিবেশন করবেন নৃত্যনাট্য ‘সূর্যমুখী নদী’।

পরদিন চট্টগ্রামের শিল্পীরা ‘মায়ার খেলা’ এবং সাতক্ষীরার শিল্পীরা ‘চণ্ডালিকা’, ২০ ডিসেম্বর সিলেটের শিল্পীরা ‘দ্রোহকাল’, রাজশাহীর শিল্পীরা ‘বিদায় অভিশাপ’, ২৩ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের শিল্পীরা ‘মহুয়া’ এবং কিশোরগঞ্জের শিল্পীরা ‘সোনাই মাধব’ পরিবেশন করবেন।

২৪ ডিসেম্বর খুলনার শিল্পীদের নৃত্যনাট্য ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে উৎসবের ঢাকা পর্ব।

জানুয়ারিতে ঢাকার শিল্পীরা চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, নাটোর, ময়মনসিংহে নৃত্যনাট্য নিয়ে যাবেন।