গত ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের বাসার ঠিকানায় তালাকনামা পাঠিয়েছেন শাকিব খান। আগামী নব্বই দিনের মধ্যে ডিভোর্স কার্যকর হবে। তবে শাকিব খান চাইলে আবারও সংসার শুরু করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম।
শাকিব এখনও অবধি তার সিদ্ধান্তে অনড় আছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। শাকিব-অপুর ৯ বছরের সংসারের এই ভাঙনকে মানতে পারছেন না সহকর্মীরা।
অপু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত চিত্রনায়িকা বর্ষা মঙ্গলবার ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে বলেন, “আমি একটু মর্মাহত হলাম শাকিব-অপুর সংসার ভেঙে যাওয়ায়। কারণ এতগুলো সফল সিনেমার জুটি তারা। ভেবেছিলাম তাদের নিজেদের মাঝে যতটুকুই মনোমালিন্য হয়েছিল, তা নিজেরাই মিটিয়ে নিয়ে সুখের সংসার করবে। কিন্তু না, তার বিপরীত হলো।”
অপু বিশ্বাসের জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করে বর্ষা লিখেন, “খারাপ লাগছে অপু বিশ্বাসের জন্য। কারণ অপু নিজের পরিবার ও ধর্মকে দূরে ঠেলে শাকিবের কাছে এসেছিল। শাকিবের উপর ভরসা রেখেই সব ছেড়ে সংসার করেছিল। কিন্তু সব কিছুই সে নিমেষেই শেষ করে দিলো তালাকনামা পাঠিয়ে।”
তারকাদের উদ্দেশে বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছেন ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ খ্যাত এ নায়িকা।
বর্ষা বলেন, “আমাদের মত সেলিব্রেটিদের উচিত শাবানা ম্যাম, শাবনাজ-নাঈম, রাজ্জাক আঙ্কলের দাম্পত্য জীবন অনুসরণ করা। কারণ তারা একেকজন কিংবদন্তি হয়েও তাদের সংসার,স্বামী,সন্তান নিয়ে সুখের সংসার করে গিয়েছেন।”
বর্ষার প্রত্যাশা, “আশাকরি শাকিব-অপু তাদের পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো স্মরণ করে সব কিছু ভুলে গিয়ে ছোট্ট সন্তানের কথা চিন্তা করে, তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে, নতুন করে সুখের সংসার শুরু করবে।”
২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শাকিব-অপুর জুটি গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। গতবছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সেসব তারা আড়ালেই রেখেছিলেন।
অপু গত ১০এপ্রিল সন্তান কোলে টেলিভিশন লাইভে এসে সেই খবর প্রকাশ করলে বিষয়টি নাটকীয়তার জন্ম দেয়। শাকিব খান এ নিয়ে শুরুতে বিভিন্ন রকম কথা বললেও পরে তাদের মধ্যে মিটমাট হয়ে যায়।
বিয়ের খবর প্রকাশের ৯ মাসের মাথায় ভাঙতে চলেছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ জুটির সম্পর্ক।