‘এমন একটা মা দেনা’, ‘মামনিয়া’সহ শ্রোতাপ্রিয় অনেক গানের এই শিল্পীকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে তার হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন সুরকার আলাউদ্দিন আলী। আর সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন রাজা শেকারান শেখর তুলে দেন সম্মানী চেক ও তার একটি পোট্রেট।
ফেরদৌস ওয়াহিদকে শুভাশিস জানিয়ে আলাউদ্দিন আলী বলেন, “স্বাধীনতার পর তারা ভিন্নধর্মী গানের চর্চা শুরু করে। হঠাৎ করে যেন টেলিভিশনে বেজে উঠল, ‘এমন একটা মা দে না’। এসব গান তখন দেশের সকল পর্যায়ে আন্দোলিত করে।”
আলাউদ্দিন আলী বলেন, ফেরদৌস ওয়াহিদের পরিবারের সবাই সংগীতকে ভালোবেসেছেন; কোনো না কোনোভাবে সংগীতের সঙ্গে জড়িত থেকেছেন।
রাজাশেকারান শেখর বলেন, “ফেরদৌস ওয়াহিদের মত গুণী শিল্পীকে এবার সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান গর্বিত।”
জবাবে ৬৪ বছর বয়সী ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এভাবে সম্মাননা পাওয়া একজন শিল্পীর জীবনে অনেক বড় ব্যাপার।
ফেরদৌস ওয়াহিদের ছেলে হাবিব ওয়াহিদ এই সময়ের একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। স্বাধীনতার পর আজম খান ও ফকির আলমগীরদের সময়ে পপ সংগীতকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে বাবার অবদানের কথা তিনি অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
“স্বাধীনতার পর এমন গানের চর্চা আসলে অনেক বড় একটি সাহসের ব্যাপার। সংগীতের পুরো ধরনটাই আলাদা ছিল। আমি ভাবতে পারি, অনেক চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা নিশ্চই সহ্য করতে হয়েছে।”
অন্যদের মধ্যে বগুড়ার জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সিটি ব্যাংক এনএ’র চতুর্দশ সম্মাননার নানা দিক তুলে ধরেন হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং শামস জামান।
হোটেল র্যাডিসনের ওই আয়োজনে ফেরদৌস ওয়াহিদ ও হাবিব গানও গেয়ে শোনান।