গত ৬-২১ অক্টোবর ১৬দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে ২০১৫-২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ১১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে সারাদেশে প্রদর্শিত এই ১১টি চলচ্চিত্র থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট জুরি কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে ৩টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চলতি বছর এ উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে তৌকির আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। এ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্যই শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন তৌকির।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার নগদ অর্থসহ রেপ্লিকা ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুল চিশতি।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় গ্লিটজকে তৌকির আহমেদ বলেন, “এ উদ্যোগটা আমার কাছে বেশ প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন দর্শক। সব ছবিতো আর হলে সেভাবে পরিবেশিত হয়নি। এ উপলক্ষে ৬৪ জেলায় আমার ছবি এবং অন্যান্য ছবি প্রদর্শিত হয়েছে এটি বেশ আনন্দের। এ ধরনের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হলো পুরস্কার।”
এতে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে রুবাইয়াত হোসাইন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’। অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে ৫০ হাজার টাকার রেপ্লিকাসহ নগদ অর্থ মূল্য গ্রহন করেন অভিনেত্রী ঋতিকা নন্দিনী শিমু।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব হাসান ইমাম, চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনম ভূঁইয়া।
সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই একাডেমির পরিবেশনায় দুটি দলীয় নৃত্য ‘অষ্ট নায়িকা’ ও ‘উড়ন্ত পাখি’ পরিবেশিত হয়।
এর আগে সকাল ১১টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার রুমে ড. সাজেদুল আউয়াল-এর উপস্থাপনায় ‘ধ্রুপদী চলচ্চিত্র: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
বিকাল ৪টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয় মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অনিল বাগচীর একদিন’।
সন্ধ্যা ৬টায় চলচ্চিত্র আড্ডা ও চা-চক্র এবং পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে রাত ৮টায় ‘শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’ হিসেবে পুরস্কৃত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী।
উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগের একটি জেলায় আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সেমিনার।