জেলা শিল্পকলার হলে চলচ্চিত্র দেখানো হবে: মন্ত্রী

প্রেক্ষাগৃহগুলোর নাজুক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলগুলো প্রতি মাসে এক সপ্তাহের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2017, 06:38 PM
Updated : 6 Oct 2017, 06:38 PM

শুক্রবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ১৬ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এ উৎসব আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “যেহেতু দেশের বেশিরভাগ সিনেমা হল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত নয়, সেজন্য দেশের সকল জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলসমূহ প্রতি মাসে এক সপ্তাহের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

“সে লক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমির একটি হলকে বিশেষায়িত করে তৈরি করা হবে। প্রথম বছর বিনা ভাড়ায় শিল্পকলা একাডেমির হলসমূহ বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সিনেমা প্রদর্শন থেকে অর্জিত আয়ের একটা অংশ শিল্পকলা একাডেমিকে দেওয়া হবে।”

মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতি বছর দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দেওয়া হবে। আগামীতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডকুমেন্টারি ফিল্ম নির্মাণেও অনুদান দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল ও মোরশেদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

‘সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প-সংস্কৃতি’ শিরোনামে এবারের চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে।

উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় রিয়াজুল রিজু পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়স্কোপ’। শনিবার প্রদর্শিত হবে তিনটি চলচ্চিত্র ‘দর্পণ বিসর্জন’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ ও ‘রীনা ব্রাউন’। বিকেল ৩টা, সোয়া ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চলচ্চিত্রগুলো শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বিনামূল্যে প্রদর্শিত হবে।

আয়োজকরা জানান, উৎসবের অংশ হিসেবে ১১টি চলচ্চিত্র নিয়ে সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র বিভাগে থাকছে প্রতিযোগিতা, সেখান থেকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী ২১ অক্টোবর উৎসবের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।