তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো না, প্রেম তো নয়ই: হৃতিক

কদিন আগেই সেলিব্রেটি চ্যাট শো ‘আপ কা আদালত’এ এসে বোমা ফাটিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। দীর্ঘ বিরতির পর কঙ্গনার আনা অভিযোগের জবাব দিলেন হৃতিক।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2017, 03:39 PM
Updated : 5 Oct 2017, 03:39 PM

২০১৬ সালে হৃতিকের সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রথম মুখ খোলেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এ সময় হৃতিককে ‘সিলি এক্স’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। এ ঘটনায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির আইনী নোটিশ পাঠান ‘কাবিল’ তারকা। এরপরই কঙ্গনা ও হৃতিকের প্রেম ও গোপন বাগদান নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে বলিউড পাড়া। সম্প্রতি সেলিব্রেটি চ্যাট শো ‘আপ কা আদালত’এ এসে হৃতিককে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আবারও সে আগুনে ঘি ঢালেন কঙ্গনা। এবারে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে পরিস্কার বক্তব্য দিলেন হৃতিক।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানা্য়, সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বার্তায় হৃতিক লিখেছন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে নানা রকম নোংরা মন্তব্য করে আসছেন আমারই এক সহকর্মী (কঙ্গনা রানাউত)।সম্প্রতি সাক্ষাতকারে তার সঙ্গে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের ছিলো বলেও দাবী করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্যারিসে আমাদের গোপনে বাগদান হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকবো ভেবেছিলাম। পরে আমার মনে হলো কিছু বিষয়ে চুপ থাকো ঠিক নয়, বরং সত্যটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়াই জরুরি। সে কারণেই এ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিটি দেওয়া।”

বার্তায় কঙ্গনাকে উদ্দেশ্য করে হৃতিক বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অহেতুক নোংরা অপবাদ ছড়াচ্ছেন যিনি তার সঙ্গে আমি একসঙ্গে সিনেমায় কাজ করেছি এবং কাজের বাইরে তার সঙ্গে আমার কোনো ধরণের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো না, প্রেম তো নয়ই।”

দীর্ঘ এ বিবৃতিতে হৃতিক আরও লিখেছেন, “ব্যক্তিজীবনে আমি খুবই শান্তিপ্রিয় একজন মানুষ। প্রেম কিংবা অন্য যে কোনো সম্পর্কের বিষয়ে আমি শ্রদ্ধাশীল। সম্পর্ক তৈরি বা সম্পর্কচ্ছেদ সব কিছুই আমি শান্তিপূর্ণভাবে করি। সুজানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন সেটা। কাজেই কারও সঙ্গে আমার ৭ বছরের প্রেম থাকবে আর আমি সেটা অস্বীকার করবো এমন মানুষ আমি নই্। তাছাড়া কারও সঙ্গে যদি আমি এতো দীর্ঘ সময় ধরে প্রেম করেই থাকি তবে নিশ্চয় এতদিন তা পাপ্পারাজ্জিদের নজরে পড়তো এবং এ প্রেমের প্রমাণ হিসেবে কোনো গোপনীয় ছবি বা ভিডিও থাকতো। কিন্তু যে বা যারা আমাকে নিয়ে নানারকম কথা ছড়াচ্ছে তারা কিছু ফটোশপ করা ছবি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।”

প্যারিসে ‘গোপন বাগদান’ প্রসঙ্গে হৃতিক বলেন, “আমার পাসপোর্ট সাক্ষী যে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আমি প্যারিসে গিয়েছিলাম কি না। আপনারা চাইলে আমি তা প্রকাশ করতে পারি। সে সময় আমি ভারতেই ছিলাম, কাজেই ‘গোপন বাগদান’ এর বিষয়টি সম্পূর্ণই মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এগুলো বলা হচ্ছে এমনকি একই উদ্দেশ্যে আমার ই-মেইলে হয়রানিমূলক ও যৌন উত্তেজক বার্তাও পাঠিয়েছেন তিনি।”

হৃতিক আরও বলেন, “আমি বরারই নারী স্বাধনিতায় বিশ্বাস করি। নারীদের প্রতি পুরুষের প্রতারণা ও নিযাতনের বিরুদ্ধেই কথা বলি সব সময়। কিন্তু যখন কোনো নারী মিথ্যা বলেন তখন সেটা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”