‘কী পেলাম আর কী পেলাম না এসব ভাবি না'

আটষট্টিতে পা দিলেন ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত নন্দিত অভিনেত্রী কবরী। জন্মদিনে চিরসবুজ এই নায়িকা গ্লিটজকে জানালেন, জীবনে কী পেলাম আর কী পেলাম না-সেটা ভাবি না।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2017, 02:32 PM
Updated : 20 July 2017, 01:34 PM

ঘরোয়া আয়োজনেই কাটছে কবরীর জন্মদিন। রাত থেকে আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন তিনি। কেমন কাটছে দিনটি? গ্লিটজকে জানালেন, “সময়গুলো যে কীভাবে কেটে যায়, এতো চিন্তা করি না। আগের মতো চিন্তা করার সময়ও হয় না এখন, মন-মানসিকতাও নাই।”

চল্লিশ বছরেও বেশি সময় কাটিয়েছেন অভিনয় করে। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘আবির্ভাব’, ‘বেঈমান’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘দেবদাস’, ‘সুজন সখি’, বাহানাসহ অসংখ্য দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। নির্মাণেও মুন্সিয়ানার দেখিয়েছেন। জাতীয় সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

তার প্রাপ্তির ঝুলিটা দারুণ সমৃদ্ধ। তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী? প্রাপ্তি কিংবা অপ্রাপ্তি নিয়ে আপাতত ভাবতে নারাজ তিনি। বললেন, “কী পেলাম আর কী পেলাম না এসব ভাবি না। জীবনে যতটুকুই কাজ করেছি বৃথা যায়নি। যেখানে কাজ করেছি মিলেমিশে, সততা ভালোবাসা দিয়ে কাজ করেছি।”

সহকর্মীদের প্রতি ভালোবাসাও জানাতে ভুললেন না, “মিডিয়াতে আছি বলেই এখনো হয়তো মানুষ আমাকে ডাকে। আসলে এর মধ্যেও একটা আনন্দ আছে। কেউ কোথাও নেই-এই কথাতো বলতে পারি না। বলি, কেউ কোথাও আছে।”

১৯৫০ সালে আজকের এই দিনে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাতে জন্মগ্রহন করেন তিনি। জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও শৈশব ও কৈশোর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীতে। তার আসল নাম মিনা পাল। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ ছবিতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন।