নাগপুর ও পুনেতে কংগ্রেসের বিরূপ আচরণের মুখোমুখি হওয়ার পর এবার সমস্যা নিরসনে রাহুল গান্ধীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন ভান্ডারকর।
নাগপুরে নিজের সিনেমার প্রচারে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় কংগ্রেস নেতাকর্মীদের বিরোধিতার সম্মুক্ষীন হন মধুর। পরে সিনেমার জন্য নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি। এরপর পুনেতেও একই পরিস্থিতিতে পরে আরও একটি সংবাদ সম্মেলন বাতিল করতে হয়েছিল তাকে।
এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে ভান্ডারকার টুইটারে লিখেন, “পুনের পর আজ আমাকে নাগপুরের সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করতে হলো। আপনি কি এই ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সমর্থন করেন? আমার কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই?”
এর আগে পুনেতে কংগ্রেস সমর্থকদের বিক্ষোভের কারণে হেটেল রুমে নিজেদেরকে বন্দী থাকতে হয়েছিল বলে দাবি করেন ‘ফ্যাশন’ খ্যাত এই নির্মাতা।
টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, “কংগ্রেসকর্মীরা হোটেল লবিতে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। হোটেল রুমে আমরা জিম্মিদের মতো আটকা পড়ে আছি। পুনের অনুষ্ঠান বাতিল।”
‘ইন্দু সরকার’য়ের কারণে কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার স্বামী সঞ্জয় গান্ধী’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে সিনেমাটি মুক্তির আগে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের দেখতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ভারতের সেন্সর বোর্ডকে সম্প্রতি একটি চিঠি লিখেছিলেন দলটির নেতা সঞ্জয় নিরুপম।
নিরুপমের এই দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকেই ‘ইন্দু সরকার’-এর উপর চড়াও হয়েছে কংগ্রেস- এমন দাবিই করছেন মধুর।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭- নিজের শাসনামলে এই দুই বছর ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই সময়ের গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘ইন্দু সরকার’, যাতে ‘৩০ ভাগ বাস্তবতার সঙ্গে মেশানো হয়েছে ৭০ ভাগ কল্পনা’- এই কথা নিজেই স্বীকার করেছেন মধুর।