রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিসহ এফডিসির ১৩টি সংগঠনের কাছে ক্ষমা চান ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। তারপরেই বদলে যেতে থাকে শাকিবকে ঘিরে সকল ঘটনার দৃশ্যপট।
সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হলো সংবাদ সম্মেলন। শাকিব খানের দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আজকে দুপুরের সভায় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে ইতপূর্বে শাকিব খানের সাথে কাজ করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের বিষয়টি সমিতিগুলো প্রত্যাহার করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জানান চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন।
এ প্রসঙ্গে গ্লিটজকে মহাসচিব বলেন,“গতকাল (রবিবার) আমাদের সমিতিতে চিত্রনায়ক আলমগীরের মাধ্যমে শাকিব খান উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে আমাদের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শাকিব খানের মুখ থেকে তার বক্তব্য আমরা সবাই শুনেছি। তিনি ইতপূর্বে যে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন সেই বক্তব্যের ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।”
চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব খান চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক আর শিল্পীদের হেয় করেছিলেন। এমনই অভিযোগে তাকে উকিল নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তও নেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে শাকিব খান বলেন, “এখন যেহেতু বেশি চলচ্চিত্র হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকা দেখবেন, অনেক পরিচালক। তারা এফডিসিতে আড্ডাও মারছেন। কিন্তু কাজ করছেন কতজন? প্রযোজকের ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তাই। অনেক শিল্পী তো নিবন্ধিত আছেন, কাজ করছেন কতজন? শত শত লোকের দিকে না তাকিয়ে দেখতে হবে, এই শিল্পের ভালো লোকেরা কী বলছেন। সফল মানুষেরা কী বলছেন। আজকে ৬০০ শিল্পী কী বললেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, সোহেল রানা, ববিতা, কবরী, শাবানা যখন বলবেন, তখন তাদের বিষয়টা গ্রহণযোগ্য। আমার কাছে মনে হয়, এই দেশে এক নম্বর হওয়াটা একটা যন্ত্রণার ব্যাপার। একদিন বা দুইদিনের জন্য হলে ঠিক আছে, কিন্তু দীর্ঘদিন প্রথম স্থান ধরে রাখলে তখন শত্রুর অভাব হয় না। ব্যাপার না, আমাদের নাম-বদনাম দুই-ই নিয়েই চলতে হবে।”
তবে আগামীতে এমন ধরণের পরিস্থিতি আবারও যেন তৈরি না হয় সেই বিষয়টি সম্পর্কেও সকলকে অবহিত করেছেন বলে জানান বদিউল আলম খোকন।
গ্লিটজকে তিনি বলেন,“শাকিব খানকে নিয়ে কিংবা শাকিব খানের মত আর কেউ যেন ভবিষ্যতে এই রকম কোনো বক্তব্য বা এই রকম কোনো কর্ম দিয়ে নৈরাজ্যকর কিংবা অস্বস্তিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আমরা সকল সমিতির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করবো। এই সমন্বয় কমিটি একটি নীতিমালা তৈরি করবে। যেই নীতিমালার ভিত্তিতে আগামীতে ছবি নির্মিত হওয়া সহ ছবির যাবতীয় কাজ হবে। সেই নীতিমালায় সব উল্লেখ থাকবে। পরবর্তীতে সেই নীতিমালা মেনেই সবাইকে কাজ করতে হবে। যদি সেই নীতিমালা কেউ ভঙ্গ করেন তাহলে তিনি অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসবেন। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে সব সমিতিগুলো বসবো।”