কাজী হায়াত গ্লিটজকে বলেন, "এখন তো দেশের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না৷ আমরা কোনো আয়োজন রাখছি না, তবে আমরা তাকে স্মরণ করব।"
Published : 13 Sep 2024, 09:47 AM
মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে গতবছর মারা যান ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান; তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার।
এই অল্প সময়েই যেন তাকে ভুলতে বসেছে তার কাজের অন্যতম ক্ষেত্র এফডিসি। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই নির্মাতাকে নিয়ে এফডিসিতে কোনো স্মরণসভা বা আয়োজন রাখা হয়নি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও বর্ষীয়ান নির্মাতা কাজী হায়াত গ্লিটজকে বলেন, "এখন তো দেশের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না৷ আমরা কোনো আয়োজন রাখছি না, তবে আমরা তাকে স্মরণ করব।"
তিনি বলেন, "সোহান ভালো মানুষ ছিলেন, একজন ভালো পরিচালক ছিলেন। তার মধ্যে একটা কোয়ালিটি ছিল। যেটা প্রশংসা করার মত। সে যেটা টার্গেট করত, সেই আর্টিস্ট থেকে সে সেটা আদায় করে ছাড়ত। পরপর রিটেক নিয়ে হলেও সে সঠিক দৃশ্যটা ধারণ করতে পারত। অনেক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছে সোহান। মানুষের আবেগ বুঝতে পারত সে।"
সোহানের মধ্যে ‘শিল্পী তৈরি করার গুণ’ ছিল মন্তব্য করে কাজী হায়াত বলেন, "সোহানের হাত ধরে অনেক অভিনেতা- অভিনেত্রী জনপ্রিয় হয়েছেন। সে শিল্পী তৈরি করতে পারত। মৌসুমী, শাবনুর, সালমান শাহ, শাকিব খান তার হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে। শিল্পী নির্বাচনের দক্ষতা ভালো ছিল।"
বহু সফল চলচ্চিত্রের নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে।
পরে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সোহানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। ১৯৮৮ সালে সেই সিনেমা মুক্তি পায়। তবে পরিচালক হিসেবে তিনি সাফল্য পান ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে।
এই নির্মাতার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও ইরিন জামান। শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমার পরিচালক ছিলেন তিনি।
‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বজন’, ‘স্বামী ছিনতাই’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’, ‘দ্য স্পিড’ ও ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
সোহান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে টানা দু’বার মহাসচিব এবং দু’বার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।