কেবল গান নয়, সঙ্গে গায়কের কিছু স্মৃতিচিহ্নও নিলামে বিক্রি করা হবে।
Published : 14 Jan 2025, 04:40 PM
গানের কবি অস্কার জয়ী বব ডিলানের লেখা ও সুরে সাড়া তোলা গান ‘মিস্টার ট্যাম্বরিন ম্যান’র প্রথম খসড়া শিগগিরই পৌঁছে যাচ্ছে নিলামের টেবিলে।
তবে কেবল গান নয়, সঙ্গে গায়কের কিছু স্মৃতিচিহ্নও নিলামে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান জুলিয়েন'স অকশনস জানিয়েছে ডিলানের জীবন ও ক্যারিয়ারের ৫০টি ‘অসাধারণ ঐতিহ্যবাহ’ স্মৃতিচিহ্ন নিলামে উঠতে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু জিনিসের দাম ৬ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা করছে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান।
ডিলানের গানের খসড়া ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন জুলিয়েন'স অকশনসের হাতে আসার পেছনে আছে একটি গল্প।
এই জিনিসগুলো সাংবাদিক আল অ্যারোনোভিটজের ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। ‘মিস্টার ট্যাম্বরিন ম্যান’র খসড়া প্রথম খুঁজে পান অ্যারোনোভিটজে।
এই সাংবাদিক ডিলানসহ আরো বহু তারকা ব্যক্তির বন্ধু ছিলেন। আল অ্যারোনোভিটজের "রক সাংবাদিকতার গডফাদার" হিসেবেও পরিচিত।
নিলামে উঠছে যা যা
সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল ডিলানের গান ‘মিস্টার ট্যাম্বরিন ম্যান’র তিনটি খসড়া।
১৯৬৫ সালের ২২ মার্চে প্রকাশিত এই গানটি যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছিল। গানের খসড়ার মূল্য আনুমানিক ৪ লাখ ডলার থেকে ৬ লাখ ডলার হতে পারে।
ডিলান যখন নিউ জার্সিতে থাকতেন, তখন তিনি এই গানের কথাগুলোর পূর্ণতা দিয়েছিলেন।
নিলামে উঠছে ডিলানের সই করা একটি তৈলচিত্র, সময় ১৯৬৮ সাল।
এছাড়া আছে ১৯৬৪ সালে ডিলানের প্রকাশিত গান ‘দ্য টাইমস দে আর আ-চেঞ্জিন’রর ২০২১ সালের পুনঃরেকর্ডিংয়ের একটি অ্যানালগ ডিস্ক; এই গানটি ডিলানের অন্যতম জনপ্রিয় গান হিসেবে পরিচিত।
১৯৬৩ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির টাউন হলে বব ডিলানের প্রথম বড় একক কনসার্টের প্রচারপত্রও উঠছে সিলামে।
এসবের পাশাপাশি গায়কের একাধিক পুরনো ছবিও নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হবে বলে জানিয়েছে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান।
গানের খসড়া মিলল যেভাবে
সাংবাদিক অ্যারোনোভিটজের লেখা একটি প্রবন্ধের মূল কপি থেকে জানা গেছে, তিনি ডিলানকে তার বাড়িতে বসে গানের লিরিক লিখতে দেখেছেন।
অ্যারোনোভিটজ তার প্রবন্ধে লিখেছেন, “একটি পোর্টেবল টাইপরাইটার ব্যবহার করে ডিলান এই গানটি রচনা করেন। ঘরে তখন এক রাশ সিগারেটের ধোঁয়া। আমি দেখছিলম লম্বা নখের হাড্ডিসার আঙুলগুলো দ্রুত হাতে লিখে চলেছে।“
অ্যারোনোভিটজ আরও লিখেছেন, তিনি ঘরে রাখা একটি আবর্জনার ঝুড়িতে দুমড়ানো অবস্থায় গানটির কিছু লিরিক খুঁজে পেয়েছিলেন।
সাংবাদিকের ওই প্রবন্ধটির কিছু অংশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান জুলিয়েন'স অকশনস’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
জুলিয়েন'স অকশনস জানিয়েছে, "প্রথম খসড়া থেকে তৃতীয় খসড়ায় (যা গানের চূড়ান্ত সংস্করণের খুব কাছাকাছি) অনেক পরিবর্তন রয়েছে। তবে এই খসড়াগুলো চূড়ান্ত লিরিক থেকে অনেকটা আলাদা।"
“ইতিহাসের একটি অংশ মালিকানায় নেওয়ার সুযোগ আপনার হাতছাড়া করবেন না” বলছে ওই নিলামকারী প্রতিষ্ঠান।
অ্যারোনোভিটজের ছেলে মাইলস বলেন, তার বাবাকে কেবল একজন সাংবাদিক ভাবা হলে সেটি ঠিক হবে না।
“তিনি সংবাদমাধ্যম কর্মীর থেকেও বেশি ছিলেন। তিনি বুঝতেন, এই শিল্পীরা কী করতে চাইতেন।"
এক বিবৃতিতে মাইলস বলেছেন, "এই সংগ্রহটি আমার বাবার অনুভূতি এবং তার সৃষ্টিশীলতার পরিচয় বহন করে। তার সংগ্রহের প্রতিটি জিনিস তার যোগ্যতা এবং সৃষ্টিশক্তির প্রমাণ।"