বুধবার দুপুরে ঢাকার শিশু একাডেমিতে রুনা লায়লার গানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনের পর্দা নামে।
Published : 27 Mar 2024, 04:08 PM
দেশের প্রখ্যাত সিংগীত শিল্পী রুনা লায়লা যখন শিশু একাডেমির মঞ্চে পা রাখেন, শিল্পীকে বরণ করে নিতে চারদিকে তখন করতালি। মঞ্চে ওঠার পর শিল্পী জানালেন, চারপাশের সহশিল্পীর সংখ্যা দেখে রীতিমত ভয় পাচ্ছেন তিনি। এ কথায় হেসে ওঠেন সবাই।
এমন আনন্দময় মূহূর্ত তৈরি হয় ঢাকার শিশু একাডেমির মিলনায়তনে। বুধবার ওই মিলনায়তনের মঞ্চে শত শিশুকে নিয়ে 'বাংলাদেশ' শিরোনামে দেশের গান গাইলেন রুনা লায়লা।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিশু একাডেমি। বুধবার দুপুরে রুনা লায়লার গানের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের পর্দা নামে।
শুরুতেই রুনা লায়লার কাছে অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, ‘শত শিশুর সঙ্গে গান করবেন, অনুভূতি কেমন?’
যুগ যুগ ধরে যার কণ্ঠের মাদকতায় বুঁদ হয়ে আছেন দেশ-বিদেশের শ্রোতারা, সেই শিল্পী রুনা লায়লার উত্তর, “ভয় লাগছে। এত সিঙ্গার চারপাশে। বাপরে বাপ, গাইব কী করে?”
এরপর রুনা লায়লা শত শিশুকে সঙ্গে নিয়ে গেয়ে শোনান ‘বাংলাদেশ’ গানটি।
রুনা লায়লার সঙ্গে গাওয়ার সুযোগ পেয়ে শিশুরাও খুশি। এই শিশুরা সবাই একাডেমির শিক্ষার্থী।
তাদেরই একজন রিফাত আনজুম বলে, “আমার খুব ভালো লেগেছে। উনি এত সুন্দর করে গান করেন, এটা বেশি ভালো লেগেছে।”
‘বাংলাদেশ’ গানটি লিখেছেন ছড়াকার ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। সুর ও সংগীত করেছেন আশরাফ বাবু।
শিশু একাডেমি জানায়, গত ২৩ মার্চ দুপুরে রাজধানীর বনশ্রীতে সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবুর স্টুডিও ‘পাশের ঘর’ এ রেকর্ডিং হয় গানটির।
গানটি রেকর্ড করা পর রুনা লায়লা বলেন, “শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আমি সবসময় শিশুদের অনুপ্রেরণা দিতে চাই যেন তারা বড় হয়ে যে যা হতে চায়, যেন তাই হতে পারে।”
যারা কণ্ঠশিল্পী হতে চায়, তাদের উদ্দেশে রুনা লায়লা বলেন, “যদি কেউ বড় হয়ে গায়ক-গায়িকা হতে চায় তবে তাদেরকে বলব ওস্তাদের কাছে গান ভালোভাবে শিখতে হবে, নিয়মিত গানের চর্চা করে যেতে হবে।”
‘বাংলাদেশ’ গান প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, “দেশাত্মবোধক এই গানটির কথা ও সুর খুব চমৎকার। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানে আমি শত শিশুর সঙ্গে গেয়েছি, এটা আমার জন্য সত্যিই ভীষণ ভালোলাগার। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি'র প্রতি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। সভাপতিত্ব করেন শিশু একাডেমির সভাপতি লাকী ইনাম। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।