”উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি উঠে আসে পরিবেশ সমাবেশে।
Published : 19 Jun 2023, 02:20 PM
’প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষায় জাগো বাংলাদেশ‘স্লোগানে অপরিকল্পিত নগরায়ন থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছে পরিবেশকর্মীরা।
রোববার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পরিবেশ সমাবেশের আয়োজন করে ১৪টি সংগঠন, যারা পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে।
পরিবেশ সমাবেশের শুরুতে সব আয়োজক সংস্থার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বেসরকারি ও অলাভজনক উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর পরিচালক পাভেল পার্থ।
পরে আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক।
পরিবেশ বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, “মানুষ হিসেবে বাঁচতে হলে সব অনুষঙ্গই আমরা প্রকৃতি থেকে পাই। আদিবাসীদের মত সবাইকেই প্রকৃতি নিয়ে বাঁচতে হবে।”
প্রকৃতিকে মাঝখানে রেখে উন্নয়নের দাবি জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ”জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে যতদিন আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করব ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী উত্তপ্ত থাকবে।
”পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য নিরাপদ পৃথিবী রেখে যেতে চাইলে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।”
আয়োজকদের পক্ষে পরিবেশ সমাবেশ কমিটির আহ্বায়ক এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ”উন্নয়ন অবশ্যই চাই। তবে পরিবেশ, প্রকৃতি, প্রাণ বৈচিত্র বিনাশের বিনিময়ে নয়।
”দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেড়েছে লবণাক্ততা ও ঘূর্ণিঝড়, উত্তরাঞ্চলে তাপদাহ ও খরা, উত্তর-পূর্বে পাহাড়ি ঢল, মধ্যাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধ্বস, দেশজুড়ে নদী ভাঙন, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ড, রাসায়নিক বিস্ফোরণ, জলাবদ্ধতা এবং প্লাস্টিক দূষণ।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আদিবাসী নেতা সঞ্জিব দ্রং, সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী আমিরুল রাজিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোমা দে, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান মজুমদার।
আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে মঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিল গান, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন।
পরিবেশ সমাবেশের যৌথ আয়োজক ১৪টি সংগঠন হল- এএলআরডি, বেলা, বারসিক, বাপা, নিজেরা করি, নাগরিক উদ্যোগ, সিসিডিবি, কাপেং ফাউন্ডেশন, আদিবাসী ফোরাম আইপিডিএস, ইনসিডিন-বাংলাদেশ, কারিতাস, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন এবং রিভারাইন পিপল।