শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ: গরমের আরাম ডাকছে বিপদ

বাসাবাড়ি থেকে অফিস বা বিপণিবিতানে গরম থেকে স্বস্তির জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদা যখন ক্রমশ বেড়েই চলেছে, তখন ঘর শীতল করার এই যন্ত্রের মাধ্যমে আশপাশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও সার্বিক পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকমেহেরুন নাহার মেঘলাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2020, 05:33 AM
Updated : 3 Oct 2020, 05:33 AM

তারা বলছেন, এসি ঘরকে ঠাণ্ডা করলেও বাইরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বিপুল সংখ্যক এসির ব্যবহার পুরো এলাকার গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া এসি থেকে নির্গত গ্যাস পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এক সময় এয়ার কন্ডিশনার বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিলাসিতা হলেও এখন উচ্চ মধ্যবিত্তের ঘরেও এ যন্ত্র অনেকটা ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠেছে। গরম পড়তে না পড়তেই এসি ও কুলার কেনার হিড়িক দেখা যায় রাজধানীতে। শীতাতপ সুবিধা ছাড়া শহরে গাড়ি, দোকান, সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তোরাঁ এখন কল্পনাই করা যায় না।

গত বছর চৈত্র-বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শেষমেশ এসি কেনেন মগবাজারের বাসিন্দা লুৎফর রহমান। ঢাকার ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা আছে তার। সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের ও মেয়ের ঘরের জন্য দুটো এসি কেনেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে লুৎফর বলেন, “ঢাকা শহরে এত জ্যাম, বাইরে এত গরম... তারপর গরমের দিনে ঘরেও টেকা মুশকিল। আমার বাসা টপ ফ্লোরে, বাচ্চারাও অসুস্থ হয়ে যায়। তাই গতবছর বৈশাখ মাসে দুই রুমের জন্য দুইটা এসি কিনে ফেলি।”

ছবি: মাহমুদ জামান অভি

তবে ওই এসি কী করে পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে, সে বিষয়ে একদমই অবগত নন লুৎফর।

তিনি বলেন, “এসি ব্যবহার করাটা দরকার, তাই ব্যবহার করি। এটা যে পরিবেশের জন্য কেন ক্ষতিকর, তা জানা নাই।”

পরিবেশের ক্ষতির কথা জানলেও গরম থেকে রেহাই পেতে এসির কোনো বিকল্প দেখছেন না পূর্ব রামপুরার তুনাজ্জিনা জাহান।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তুনাজ্জিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি জানি এসি ব্যবহারে লং টার্মে পরিবেশের ওপর একটা খারাপ প্রভাব পড়ে। কিন্তু ঢাকা শহরের ভ্যাপসা গরম অসহ্য হয়ে ওঠায় এসি ব্যবহারের আসলে আর কোনো বিকল্প নেই। আমি গরম একেবারেই সহ্য করতে পারি না।”

গরম ও ঠাণ্ডা দুই আবহাওয়াতেই এলার্জি আর হাঁচি-কাশির সমস্যা রয়েছে এই তরুণীর। গরমে দিনের কিছুটা সময় এসি চালিয়ে রাখেন, আর রাতে এসি চালিয়েই ঘুমান।

২০০৭ সালে তাদের বাসায় এসি লাগানো হয়। এখন অফিসেও কাজ করেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে।

বাড়ির আটটি কক্ষের মধ্যে পাঁচটিতেই এসি রয়েছে জানিয়ে তুনাজ্জিনা বলেন, “যদিও একেক সময় একেক রুমে এসি চালু থাকে, কিন্তু গরমের সময়ে রাতের বেলায় সবগুলো রুমেই এসি অন রাখা হয়।”

ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

চাহিদা বাড়তে থাকায় এখন সামর্থ্য বুঝে কম থেকে বেশি দামের এসি মিলছে বাজারে। ক্রেতাদের এসির প্রযুক্তি নিয়ে তেমন ধারণা না থাকায় দামে পোষালেই এসি কিনে নিচ্ছেন।  

এ নিয়ে সতর্ক করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সস্তা প্রযুক্তির এসিতেই বেশি ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।

এসি ঘরকে শীতল করলেও বাইরের বাতাসকে কী করে গরম করে তুলছে, তা ব্যাখ্যা দিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যবহার তিনভাবে পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে; প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এবং এসির বাইপ্রোডাক্টের মাধ্যমে।”

তিনি বলেন, পুরো ধানমণ্ডি এলাকায় এক হাজার ১৬৮টি দালান রয়েছে। প্রতিটিতে গড়ে দশটি করে ফ্লোর ধরা হলে তার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ হাজারের বেশি। একটি ফ্লোরে কমপক্ষে দশটি এসি থাকলে ধানমণ্ডি এলাকাতেই এসি থাকে এক লাখের বেশি।

“প্রতিটি এসি যদি এক বর্গফুট এলাকাকেও উত্তপ্ত করে তবে এই এক লাখ এসি এক লাখ বর্গফুট এলাকাকে উত্তপ্ত করে দিচ্ছে।”

এসির ব্যবহার বাড়তে থাকায় বিদ্যুতের উপরও যে চাপ পড়ছে, সে কথাও বলেন অধ্যাপক কামরুজ্জামান।

“একটা বাসায় লাইট-ফ্যান দিয়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তার কয়েক গুণ বেশি খরচ হয় এসিতে। লাইট-ফ্যানের বিল যদি এক হাজার টাকা আসে, এসি ব্যবহারে সেই বিল হবে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা; অর্থাৎ ইলেকট্রিসিটি কনজিউম হচ্ছে।

“ফলে এটি আমাদের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করছে। বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। সেটা মেটাতে সরকার বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করছে, সেগুলোও আবার পরিবেশের একটা বিরাট অংশের ক্ষতি সাধন করছে।”

এসিতে ব্যবহার হওয়া গ্যাস রেফ্রিজারেন্ট নামে পরিচিত। নব্বইয়ের দশকেও এসিতে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (সিএফসি) রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার হত, যা ফ্রেয়ন বা আর-২২ নামেও পরিচিতি। 

ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরের উপর এই গ্যাসের বিরূপ প্রভাব নিয়ে শঙ্কার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ২০১০ সাল থেকে দেশটির বিশুদ্ধ বাতাস নীতিমালার অধীনে আর-২২ গ্যাসের উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা ইপিএ বলছে, নব্বইয়ের দশকে দেশটিতে সিএফসির ব্যবহার বন্ধ হয়। এখন তারা হাইড্রোক্লোরোফ্লুরোকার্বন (এইচসিএফসি) বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।

ওজন স্তরের সুরক্ষায় ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিয়ল প্রটোকল নামে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়। এতে শিল্পায়নের কারণে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সিএফসি ও এইচসিএফসির মত পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক গ্যাসের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই চুক্তিতে সই করে। ২০১৮ সালে ওজন স্তরের ক্ষয় রোধে মন্ট্রিয়ল প্রটোকল বাস্তবায়নে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের সফলতায় বাংলাদেশকে সার্টিফিকেট অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন অর্থ্যাৎ প্রশংসা সনদ দেয় জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)। 

তবে হাইড্রোফ্লুরোকার্বনের (এইচএফসি) ব্যবহার এখনও বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার।

তিনি বলেন, “এসি তৈরিতে যে পরিমাণ কার্বন ব্যবহার করা হয়, যে পরিমান কার্বন নিঃসরণ হয়, সেটা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখে। এসির লাইফটাইম শেষ হয়ে গেলে তখনও ওই এসিতে যে ক্ষতিকর গ্যাস ব্যবহার করা হয় সেগুলো নিঃসরিত হয়।”

শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে রাতেও তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণ হিসেবে এসিকে দায়ী করে তিনি বলেন, “যেখানে দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা কম থাকার কথা, রাতের বেলা এসি ব্যবহারের কারণে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাবে সেসব এলাকায় রাতেও তাপমাত্রা বেশি থাকে।”

মহামারীর এই সময় ঘরে এসি চালু রাখা বাড়তি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

এই অধ্যাপক বলেন, “ভাইরাসের জীবনকাল আর্দ্রতার উপর নির্ভরশীল। এসি ছাড়ার ফলে একটি কক্ষের আর্দ্রতা তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। এতে করে তা করোনাভাইরাসের জীবনকাল বৃদ্ধি করে এর প্রোটিনকে বাঁচিয়ে রাখে।

“এছাড়া এসি ব্যবহারে রুমের ভেতরে যেভাবে এয়ার সার্কুলেশন হয়, তাতে রুমের একজনের সংক্রমণ হয়ে থাকলে তার মাধ্যমে এসির বাতাসে পুরো রুমের সবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।”

ছবি: মাহমুদ জামান অভি

এসিতে ক্ষতিকারক গ্যাস এইচএফসির ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জিয়াউল হক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ‘শিগগিরই’ পরিবেশবান্ধব শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

এইচএফসি গ্যাসের বদলে পরিবেশবান্ধব গ্যাস ব্যবহারে দেশের এসি ও রেফ্রিজারেটর প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

“আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই এসি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে,” বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।

২০১৬ সালে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে ২০০ রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা ধাপে ধাপে এইচএফসির ব্যবহার থেকে সরে আসার বিষয়ে একমত হন। মন্ট্রিয়ল চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হচ্ছে এই চুক্তি।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সিএফসি গ্যাস আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জিয়াউল হক।   

তিনি বলেন, এক অণু এইচএফসি প্রায় দুই হাজার থেকে ১২ হাজার অণু কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের সমপরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি করে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশে ২০৪৫ সালের মধ্যে এই গ্যাসের ব্যবহার ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান জিয়াউল।  

বিদেশ থেকে আমদানি করা এসিতে সিএফসি পাওয়া গেলে ছাড়পত্র দেওয়া হয় না বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশগত ছাড়পত্র বিভাগের পরিচালক সৈয়দ নজমুল আহসান।

তিনি বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সংক্রান্ত কনভেনশন বা মিটিংয়ে যখন অংশ নেই সেখানে জলবায়ু সংক্রান্ত কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, যেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি।

“আমাদের দেশেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসি তৈরিতে ইকো ফ্রেন্ডলি বা পরিবেশবান্ধব গ্যাস ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়।”

তবে তা এখনও ‘পুরোপুরিভাবে পরিবেশবান্ধব’ নয় বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। 

এসিতে যে গ্যাসই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজওয়ান হোসেন ভূইয়া।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মানুষ যত আরামে বসবাস করতে চাইবে, এর একটা প্রতিক্রিয়া পরিবেশের উপর পড়বেই, এটা ঠেকানো সম্ভব নয় কোনোভাবেই।”

এই অধ্যাপক বলেন, “এসি থেকে নিঃসরিত গ্যাস উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয়। এই উষ্ণতা বাড়তে থাকলে পরিবেশে অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের যে অনুপাত রয়েছে, তাতে তারতম্যের ফলে পরিবেশ বিপর্যস্ত হবে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।”

এছাড়া মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

“আমরা শহরাঞ্চলে বাড়িঘরে যে এসি ব্যবহার করি, তার একটা অংশ বাইরে থাকে। বৃষ্টিপাত হলে এর নিচে যে অংশে ট্রে থাকে সেখানে পানি জমা হয় এবং এই পানি পরিষ্কার হওয়ার কারণে এখানে এইডিস মশা বংশবিস্তার করে। ফলে দেখা যায়, বস্তি এলাকার চেয়ে তুলনামূলকভাবে অভিজাত এলাকাগুলোতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে।”

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র যদি ব্যবহার করতেই হয় সেক্ষেত্রে এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক রেজওয়ান হোসেন।

তিনি বলেন, “পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের অনুপাত ঠিক রাখতে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। এটি অক্সিজেনের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম।”

রাজউকের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মেনে বাড়ি করলে শহরেও গাছ লাগানোর জায়গার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে মত দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

“দালান তুলে সেখানে গ্যারেজ বানিয়ে, কিংবা যন্ত্রপাতি রাখার জন্য জায়গা করতে গিয়ে আমরা গাছপালার জন্য জায়গা নিজেরাই নষ্ট করে ফেলি। গাছ লাগানোর জায়গা শহরে নেই, এই কথা আমি মানতে মোটেও রাজি নই।”