গেল অক্টোবর মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তার মানে গত বছরের অক্টোবরে মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, সেই একই পণ্য বা সেবার জন্য এ বছরের অক্টোবরে খরচ হয়েছে ১০৮ টাকা ৯১ পয়সা।
এক দশকের রেকর্ড ভেঙে গত অগাস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছায়। আর সেপ্টেম্বরে এই হার ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমেছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি কমার এই প্রবণতা সামানের দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।”
অক্টোবরে গড় মুজরি বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৮৬ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৯১ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও কমায় আর মজুরি হার কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ম আয়ের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অ্যাকাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক মো. জিয়াউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অক্টোবরে খাদ্য উপখাতের মূল্যস্ফীতি ছিল পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সেপ্টেম্বরের মত অক্টোবর মাসেও দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ শহরের মানুষের চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতির চাপে ছিল।
অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলে ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে, শহরাঞ্চলে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।
গ্রামাঞ্চলে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ; খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
অপরদিকে শহরাঞ্চলের খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ; আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতের ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, অক্টোবর মাসে ভোজ্যতেল, সবজি জাতীয় খাদ্যপণ্যের দাম সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে ব্রয়লার, মুরগি, চিনি, বিদেশি ফল, সিলিন্ডার গ্যাসের দাম সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।