বাংলাদেশ কখনও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সক্ষমতার সঙ্গে নিয়মিত এডিবির ঋণ পরিশোধ করে চলেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2022, 05:50 PM
Updated : 27 Sept 2022, 05:50 PM

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবির সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ অংশীদারিত্ব ও লেনদেনের কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে কখনওই দেশি-বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। 

মঙ্গলবার ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়ার সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির ক্রমবর্ধমান অর্থায়ন ২৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বকেয়া রয়েছে মাত্র ১১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্ষমতার সাথে নিয়মিত এডিবির ঋণ পরিশোধ করে চলেছে।

“বাংলাদেশের ৫১ বছরের যাত্রায় কখনোই দেশি-বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণের দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৪ শতাংশ।”

বাংলাদেশ থেকে এডিবির শীর্ষ পদে নিয়োগের প্রত্যাশা রেখে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিশাল পোর্টফোলিও ও এডিবির সঙ্গে দৃঢ় সম্পৃক্ততার কথা বিবেচনা করে, বাংলাদেশ থেকে এডিবির শীর্ষ ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশেষ করে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।”

করোনাভাইরাস মহামারীর অভিঘাত ও সঙ্কটে দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য বৈঠকে এডিবির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও স্বাস্থ্য সঙ্কট দূর করতে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে দ্রুত ভ্যাকসিন ও ব্যয় সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছে।

“এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, বাংলাদেশ-এডিবি কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (২০২১-২০২৫) বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আমাদের জন্য ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহয়তার যোগান থাকবে।”

এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য গতিশীল ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানান মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আইসিটি ভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন, কৃষি বৈচিত্র্যকরণ, স্থিতিস্থাপক স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মানসম্পন্ন অবকাঠামোর কৃষি প্রবর্তনে তার (এডিবি) উদার সহায়তা প্রসারিত করতে পারে।”

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা এডিবির প্রেসিডেন্ট করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের সক্ষমতার একটি প্রতীক। শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতি এডিবির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এবারের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছে সেগুলোও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে।”