পাঁচ বছরে ৩ লাখ ইএফডি স্থাপনের লক্ষ্য: এনবিআর চেয়ারম্যান

জনগণকে ইএফডি মেশিন আছে, এমন দোকান থেকে কেনাকাটা করার আহ্বান জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2023, 03:23 PM
Updated : 6 Dec 2023, 03:23 PM

ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারাদেশে পাঁচ লাখ ইএফডি মেশিন স্থাপনের লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম।

ভ্যাট দিবস উপলক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত সারা দেশে ১৮ হাজার ৫টি ইএফডি এবং ৫০০টি এসডিসি স্থাপন করা হয়েছে।” 

“চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৩০ হাজার এবং প্রতি বছর ৬০ হাজার করে স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৩ লাখ ইএফডি মেশিন স্থাপন করার লক্ষ্য রয়েছে।”

ইএফডি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের ভিত্তিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োজিত করেছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন,  “রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় খাত ভ্যাট। কিন্তু দেশের প্রথাগত সিস্টেমে ক্রেতারা দোকান থেকে কেনার পর ভ্যাট চালান সংগ্রহ না করার কারণে সরকার অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে। স্বচ্ছতা না থাকায় ক্রেতার কাছ থেকে কত ভ্যাট নিচ্ছে আবার আমাদের কোষাগারে কত জমা হচ্ছে তা আমরা জানতে পারছি না।

“ভ্যাটের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা ইএফডি মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এই মেশিনের মাধ্যমে লেনদেন করলে এবং কত ভ্যাট কাটা হলো তা রিয়েলটাইমে এনবিআরের কাছে চলে আসে। এতে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে।”

“তাই ইএফডি স্থাপিত দোকানগুলো থেকে কেনাকাটার জন্য আমি দেশের মানুষকে আহবান জানাচ্ছি,” বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে ভ্যাট অনুবিভাগের সদস্য ড. মইনুল খান বলেন, “দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে রাজস্ব আহরণে অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারওপর সম্প্রতি দেশের আমদানি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। আমদানি পর্যায়ে যে ভ্যাট আহরিত হত, তাও কমে গেছে।

“তবে আমরা কিছু কৌশল নিয়েছি, বিশেষ করে যেসব জায়গায় লিকেজ (দুর্নীতি) থাকার সম্ভাবনা থাকে সেসব জায়গায় আমরা মনিটরিং বাড়িয়েছি এবং আমরা সফলতাও পেয়েছি। এর ফলে রাজস্ব আহরণে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে।”

ভ্যাট অনুবিভাগের সদস্য জাকিয়া সুলতানা, ড. সহীদুল ইসলাম এবং কাস্টমস নীতি সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ আরও অনেকে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।