বুধবার জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী আকিহিরো অহটার সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সাড়া পাওয়া গেছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তবে এই নতুন রুটের বিস্তৃতি বা কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় শেষ হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এরই মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল-৬ রুট নির্মাণে অ্যালাইনমেন্ট ও ১৬টি স্টেশনের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে, যা নির্মাণে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা লাগবে।
নতুন মেট্রোরেল রুট ছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে যমুনার তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের পরিকল্পনার অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
এতে জানানো হয়, যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল নির্মাণে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাপানের পরিবহনমন্ত্রী বিষয়টি জাইকার সঙ্গে পরামর্শ করে ত্বরান্বিত করা হবে বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া জাপান সরকারের অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মাণে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বৈঠকে জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অপর এক বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের অবকাঠামোখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বুধবার সকালে টোকিওতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সদরদপ্তরে জাপানের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক সভায় এ আহ্বান জানান।
অন্যদের মধ্যে টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. জীবন রঞ্জন মজুমদারসহ সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।