এসএসসি: চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার কমেছে

পাসের হার কমলেও পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে এ বোর্ডে।

amrito.shilamrito.shilবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2022, 12:03 PM
Updated : 28 Nov 2022, 12:03 PM

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছেন ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী, যা গতবারের তুলনায় প্রায় চার শতাংশ পয়েন্ট কম।

সোমবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ভবনে এ বছরের এসএসসির ফলাফল ঘোষণা করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, “এবছর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে পাশের হার কম, যার কারণে সার্বিকভাবে একটা প্রভাব পড়েছে।”

গতবছর চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। পাসের হার কমলেও এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের ১২ হাজার ৭৯১ থেকে বেড়ে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন হয়েছে।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৮৮৯ জন ছাত্রী এবং সাত হাজার ৭৭৫ জন ছাত্রী।

আর ছাত্রদের মধ্যে পাসের হার যখন ৮৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ছাত্রীদের মধ্যে ৮৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ পাস করেছে। অর্থাৎ, পাসের হার ও জিপিএ-৫, দুই দিক দিয়েই মেয়েরা এগিয়ে।

বিজ্ঞান বিভাগে এবার পাসের হার ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ; জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৫২৫ জন।

এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ, মানবিক বিভাগে পাস করেছে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ জন আর মানবিকে ৪৭৬ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছেন।

চলতি বছর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে পাসের হার ৯৪ দশমিক ২১ শতাংশ, উপজেলায় এ হার এবার ৮৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

কক্সবাজার জেলায় এবার পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় ৭৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, “মহামারীর কারণে গত বছর তিন বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল। বাকিগুলো জেএসসি থেকে মূল্যায়ন করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছিল। সে কারণে পাসের হার বেশি ছিল। এবছর তিনটি বিষয় বাদে অন্য বিষয়গুলোতে পরীক্ষা হয়েছে। সে কারণে পাসের হারে প্রভাব পড়েছে।”

পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “ইংরেজিতে এমনিতেই শিক্ষার্থীরা দুর্বল। যে ধরনের শিক্ষকের প্রয়োজন হয় স্কুলগুলোতে তেমন শিক্ষক নেই। শহরের স্কুলগুলোতে যাও কিছু ভালো শিক্ষক রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে তেমন শিক্ষক নেই। অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা সেখানে ইংরেজি পাঠদান করেন।”