চট্টগ্রামে স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়া যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
২২ বছর বয়সী সাখাওয়াৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিকাবর গ্রাম থেকে।
সাখাওয়াতের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। তিনি চট্টগ্রামের কলসীদিঘীর পাড়ে স্ত্রীকে নিয়ে একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন।
র্যাব-৭ এর পতেঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, র্যাব-১৩ এর সহায়তায় শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় সাখাওয়াৎকে। তিনি স্ত্রীকে খুন করে নেত্রকোণা পালিয়ে যান।
ঝগড়ার পর সাখাওয়াত তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বন্দর থানার কলসীদীঘির পাড় হাজী মাহমুদ মিয়া কলোনির তৃতীয় তলা ভবনের একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে রীনা আক্তার ২৮ বছর বয়সী নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাস ছয়েক আগে বিয়ে করেছিলেন রীনা ও সাখাওয়াত। এরপর এই বাসায় উঠেন তারা।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তালা ভেঙে বিছানায় চাদর মোড়ানো লাশটি উদ্ধার করে। এর পর থেকে সাখাওয়াৎ পালিয়ে ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজ জানান, রীনা ও সাখাওয়াত পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। দুইজনই মোবাইলে টিকটক ভিডিও বানাতেন। এভাবেই দুজনের পরিচয় হয় বলে সাখাওয়াত তাদেরকে জানিয়েছেন।
এই বিয়ের আগে পারিবারকে কিছু জানাননি রীনা। বিয়ের পর রীনাকে নিয়ে সাখাওয়াৎ ময়মনসিংহ যান এবং গত ২৪ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামে আসেন। ঈদে দুই জনের রীনার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “পারিবারিক কলহের জেরে সাখাওয়াৎ রীনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে লাশটি চাদর ঢেকে রেখে পালিয়ে যান।”
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২৪ এপ্রিল খুন করে সাখাওয়াত টেলিফোনে রীনার পরিবারের এক সদস্যকে রীনা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান। তবে বিষয়টি তারা ঠাট্টার ছলে উড়িয়ে দেয়।
“বাড়ি না যাওয়ায় পরদিন তারা রীনা-সাখাওয়াৎ যে ঘরে ভাড়া থাকতেন সে বাসার মালিককে ফোন করে তাদের সন্ধান জানতে চান। বাড়িওয়ালা দরজায় তালা দেখে বিষয়টি রীনার পরিবার ও পুলিশকে জানায়।”