খাঁচার ১৬ অজগর মুক্ত প্রকৃতিতে

বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা ১০টি বড় সাপও অবমুক্ত করা হয়েছে।

কৃত্রিম উপায়ে জন্ম নেওয়া ১৬টি অজগর সাপ চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার লোহাগাড়া উপজেলার এই অভয়ারণ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা আরও ১০টি সাপও অবমুক্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ বছর ১৬টিসহ চার বছরে মোট ৮০টি অজগরের জন্ম হয় কৃত্রিম উপায়ে।

চিড়িয়াখানায় থাকা অজগর সাপের দেয়া ডিমগুলো ২০১৯ সাল থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শাহাদাত হোসেন বলেন, “আগের তিন বছরে ৬৪টি বাচ্চা সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এবারের ১৬টির সঙ্গে ১০টি বড় সাপও অবমুক্ত করা হয়।”

বড় সাপগুলোর বয়স তিন থেকে ১৫ বছর উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এগুলো বিভিন্ন স্থানে আহত অবস্থায় কিংবা পাচারের সময় উদ্ধার করে চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। কয়েকটি এনেছিল সাধারণ লোকজন।”

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লোহাগাড়া নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সাপগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃত্রিম উপায়ে জন্ম নেয়া ১৬টি ছানা অভায়রণ্যে সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূর জাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী নিরাপদ আবাসস্থলে ছাড়ার একটা প্রবিশন আছে। সে লক্ষ্যে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে সাপগুলো অবমুক্ত করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

“সাত হাজার ৭৬৪ হেক্টরের এ অভয়ারণ্যে পাঁচ ধরনের বনাঞ্চল আছে। অনেক প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল এ অভয়ারণ্য। অবমুক্ত করা সাপগুলোও এখানে টিকে থাকতে পারবে,” বলেন তিনি।