‘নান্দনিক’ চট্টগ্রাম গড়তে জাপানকে পাশে চান মেয়র রেজাউল

“জাইকাসহ জাপানের সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে,” বলেন তিনি।

চট্টগ্রামের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চাইলেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের বিপুল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আছে তা কাজে লাগাতে চেষ্টা চলছে জানিয়ে মেয়র বলেন, “জাইকাসহ জাপানের সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে। জাপানের অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে চাই।”

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যা চট্টগ্রামকে বিশ্বের বাণিজ্যিক হাবে পরিণত করবে। এই উন্নয়নে জাপানকে পাশে চাই।”

মেয়রকে আশ্বস্ত করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “জাইকার পাশাপাশি প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ মডেলে বিনিয়োগ করে জাপানি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।”

বাংলাদেশে বাণিজ্য প্রসারে জাপান আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম ও মীরসরাই ইপিজেডে জাপানের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে জাপানের সবচেয়ে বড় করপোরেশনগুলোর একটি নিপ্পন স্টিলসহ বড় ২০টি শিল্পগ্রুপ বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে এই বিনিয়োগ অনেকগুণ বাড়তে পারে।

“বন্দর ও সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাস্টমসহ প্রশাসনিক জটিলতা কমানো গেলে জাপানের বিনিয়োগের স্বর্গভূমি হতে পারে চট্টগ্রাম। এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। তাই ব্যবসাক্ষেত্রের বৈচিত্র্য আনয়নে জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশে ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারে।”

এসময় চট্টগ্রাম সফরে আসা জাপানি সামরিক জাহাজ জেএস উরাগা এবং জেএস আয়াজির সঙ্গে আসা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মেয়রকে বলেন, জাপান পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব নির্মাণের সংকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায়।

বৈঠকে সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা চাকমা, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।