বাদির আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের মূলতবি সভার রেজুলেশন জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
Published : 16 Feb 2024, 11:04 AM
প্রতারণার অভিযোগে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল নামে পরিচিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (সিইআইটিসি) প্রতিষ্ঠাতা ডা. রবিউল হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ মালেক।
স্থানীয় দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বৃহস্পতিবার রাতে খুলশী থানায় মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন ওসি শেখ নেওয়ামত উল্লাহ।
মামলায় অন্য তিন আসামি হলেন, সিইআইটিসির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (৭০), জাহাঙ্গীর আলম খান (৮০) ও কাজী মো. অহীদুল আলম (৬৬)।
বাদির আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ট্রাস্টি বোর্ডের মূলতবি সভার রেজুলেশন জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। প্রতারণার উদ্দেশ্যেই ডা. রবিউল হোসাইন এবং অপর আসামিরা সভার রেজুলেশন জালিয়াতি করেছেন।”
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ট্রাস্টি বোর্ডের ৯০তম সভায় বাদি দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক সভাপতিত্ব করেন। সভার আলোচিত ষষ্ঠ নম্বর এজেন্ডায় সিআইটিসির অধীন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড থেকে রবিউল হোসাইনকে লিখিতভাবে পদত্যাগের বিষয় ছিল।
সভা থেকে চেয়ারম্যান এম এ মালেক তাকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করতে বললে তিনি মারমুখী আচরণ করেন এবং ক্ষিপ্ত হন। সভা মূলতবির পর ডা. রবিউল হোসাইন পরবর্তীতে দুইজন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যকে নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে অনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করেন।
“২০০১ সাল থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম ও গৃহীত অপকর্ম থেকে মুক্তি পেতে এক নম্বর আসামি প্রতারণামূলক কাজের আশ্রয় নেন,” বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া ২০০১ থেকে ২০২৩ এর ৩০ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে রবিউল হোসাইন ৪৪৯ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা লোকসান দেখান। এই সময়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যাংক দায় দেখানো হয়। আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এটা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রেজুলেশন জালিয়াতি করে প্রতারণার ঘটনায় আমি মামলা করেছি। অনেকদিন তাদের এসব অনিয়ম অন্যায় সহ্য করেছি, আর নয়।”
মামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. রবিউল হোসাইন বলেন, “এই লেভেলে এসে এমনটা হওয়া দুঃখজনক। এই মামলা হয়রানিমূলক ও দুঃখজনক।”