সোমবার সকালে পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ আব্দুল্লাহ খান লেইনের ‘খান হাউস’ নামে একটি ভবনের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজনের মধ্যে ৬৫ বছর বয়সী আবু তাহের ছিলেন ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক। আর ৩৮ বছর বয়সী মো. আবুল হোসেন ছিলেন গাড়ি চালক।
পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত দুদিনের বৃষ্টিতে তিন তলা ভবনটির নিচ তলায় পানি উঠে গিয়েছিল। নিচ তলার সবাই ওপরে ওঠে যাওয়ার পর তাহের ও হোসেন আইপিএস এর সংযোগ খুলতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন।
তাদের উদ্ধার করে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
ফায়ার সার্ভিসের চন্দনপুরা স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভবনের আইপিএস ছিল সিঁড়ির নিচে। পানি উঠে যাওয়ায় তাহের ও হোসেন আইপিএস এর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেন। সংযোগ খোলার পর পানির মধ্যে তারা বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন।
“ভবনের বাসিন্দারা প্রথমে হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমরা গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে তাহেরকে সিঁড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করি।”
রোববার রাতে তুমুল বৃষ্টির সাথে জোয়ারের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর অধিককাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের হিসাবে, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান।