নগরীর হালিশহর, পলোগ্রাউন্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে বুধবার দিনের বেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- মো. রকি (২৪), রফিকুল ইসলাম বাপ্পী (২৭), সাইফুল ইসলাম (৩০), তৌহিদুল ইসলাম তপু (২৪), জসিম উদ্দিন (২২), মো. সাহাবুদ্দিন (৩২) ও মো. তাজুল ইসলাম (৩৪)।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে এই চক্রের ১০ জন এক লাখ টাকা ছিনতাই করে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে মঙ্গলবার রাতভর অভিযানে গ্রেপ্তার হয় রকি, রফিকুল, সাইফুল ও তৌহিদুল।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হালিশহর এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে পলোগ্রাউন্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় সাহাবুদ্দিন ও তাজুল।
গ্রেপ্তারের পর সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশীয় এলজি এবং তাজুলের কাছ থেকে একটি টিপ ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি নেজাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোমিনুল হাসান বলেন, “এ চক্রটি প্রতিদিন তিন বেলা পালা করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ব্যাংকের সামনেও অবস্থান নিয়ে থাকে।”
প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গ্রেপ্তার রকি সোমবার দুপুরে তিন পুলের মাথায় আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নিচে দাঁড়িয়ে লোকজনের ওপর নজরদারি চালায়।
সেদিনের ছিনতাই্য়ের বর্ণনা দিয়ে ওসি নেজাম বলেন, “এম এইচ হজ গ্রুপ নামে এক একটি প্রতিষ্ঠানে এক ব্যক্তি ব্যাংকটি থেকে টাকা তুলে যাওয়ার পথে কয়েকজন যুবক ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
“এসময় তিনি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আরও কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। ওই ব্যক্তি ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ঘিরে ধরা যুবকরা তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।”
এসআই মোমিনুল জানান, চক্রটির নেতৃত্ব দেয় গ্রেপ্তার সাহাবুদ্দিন এবং মঈন নামে অপর একজন। প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ২৫টি মোবাইল ছিনতাই করে। পরে সেসব বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।
সাইফুল ও তৌহিদ ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।