করোনাভাইরাস: চট্টগ্রামেও ডেল্টা ধরন শনাক্ত

চট্টগ্রাম জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ মিলেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2021, 04:38 PM
Updated : 15 June 2021, 01:25 PM

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের সঙ্গে আইসিডিআরবি’র যৌথ গবেষণার অংশ হিসেবে জিনোম সিকোয়েন্স করে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে ‘ডেল্টা ভেরিয়েন্ট’র সন্ধান পাওয়া গেছে।

গবেষণার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সাতটি ল্যাব থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করে তার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। এর মধ্যে আক্রান্ত দুইজনের মধ্যে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে।

তবে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় পওয়া ধরনের (বিটা) আধিক্য দেখা গেছে। এছাড়া তিনজনের মধ্যে নাইজেরিয়ায় পাওয়া ধরনও (ইটা) মিলেছে।

সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জিনোম সিকোয়েন্সের এসব তথ্য জানানো হয়।   

গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বিম্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আল ফোরকান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে বিভিন্ন ল্যাব থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করে এ গবেষণা করা হয়।

এতে দুটি নমুনায় ডেল্টা (চার দশমিক আট শতাংশ), তিনটি নমুনায় ইটা (সাত দশমিক দুই), চারটি নমুনায় আলফা (৯ দশমিক ৫ শতাংশ), ৩৩টি নমুনায় বিটা ধরন পাওয়া গেছে।

অধ্যাপক ফোরকান বলেন, “চট্টগ্রামে এর আগে বিভিন্ন সময়ে করা জিনোম সিকোয়েন্সে ভারতে পাওয়া ধরনের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। প্রথমবারের মতো সন্ধান পাওয়া গেল। এছাড়া চট্টগ্রামে নাইজেরিয়ার ধরনেরও সন্ধান পাওয়া গেল।

“ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের কেউই ভারত ফেরত নন বা ভারত থেকে আসা কারও সংস্পর্শে ছিলেন না বলে আমরা জানতে পেরেছি। সারদেশে পাঁচ ধরনের ভেরিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেলেও চট্টগ্রামে এখনও পর্যন্ত চার ধরন পাওয়া গেছে।”

গবেষণা কার্যক্রমে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের চারজন শিক্ষক ও পাঁচজন শিক্ষার্থী এ গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন।