কোকেনকাণ্ড: সাক্ষ্য দিলেন আরও তিনজন

তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আরও তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2021, 09:29 AM
Updated : 3 March 2021, 11:31 AM

বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

যে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন- বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সেসময়ের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার নেজাম উদ্দিন, মো. মহিউদ্দিন ও মো. মাহবুবুর রহমান।

এদের মধ্যে প্রথম সাক্ষীর উপস্থিতিতে কন্টেইনার ও ড্রাম খুলে আলামত সংগ্রহ করা হয় এবং পরে সিলগালা করা হয়।

অন্য  দুই সাক্ষী হলেন আসামি মো. গোলাম মোস্তফা সোহেলের প্রতিবেশী। তাদের সামনে সোহেলের বাসা থেকে জব্দ করা হয় বিল অফ লেডিংয়ের ছয় পাতা ও একটা সার্টিফিকেট।

এর আগে প্রায় ২১ মাস পর এই মামলায় আবার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিন জব্দ তালিকার তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালে সবশেষ চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এরপর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় করা মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৯ থেকে ২২ মে পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।

আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন-  চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া, নূর মোহাম্মদের ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ জামিনে গিয়ে পলাতক হয়েছেন। তার ভাই মোস্তক আহম্মদ শুরু থেকেই পলাতক।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান এবং বকুল মিয়াকেও পলাতক দেখানো হয়েছে। কারাগারে আছেন গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং আতিকুর রহমান। বাকি চার আসামি জামিনে আছেন।