১০০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল হচ্ছে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অধীনে ‘ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2021, 02:42 PM
Updated : 4 Feb 2021, 02:42 PM

বৃহস্পতিবার মা ও শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে তিনি নিজেও প্রকল্পটির জন্য পাঁচ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী জাবেদ বলেন, “আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের চত্বরে ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট নির্মাণের সিদ্ধান্ত ইতিহাস হয়ে থাকবে।

“ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণে যারা সহযোগিতায় আছেন, তারা অনেক ভালো কাজ করেছেন। অনেকে সন্দিহান ছিলেন মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি ক্যান্সার হাসপাতাল করতে পারবে? আমি কিন্তু আশাবাদী ছিলাম। তবে উনাদের হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা যারা চট্টগ্রামবাসী আছি আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।”

মন্ত্রী জাবেদ বলেন, “এই মহৎ কাজটিতে আমাদের মুক্তহস্তে সহযোগিতা করতে হবে। ক্যানসার এমন রোগ যার চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ এর চিকিৎসা খুব কষ্টসাধ্য। এজন্য চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ খুব প্রয়োজন ছিল।”

হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. রেজাউল করিম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন বছরের মধ্যেই আমরা হাসপাতালটি চালু করতে চাই। একশ শয্যার এই হাসপাতাল নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। ৫৫ হাজার বর্গফুটের হাসপাতালটি হবে ১০ তলা।”

আনবিক শক্তি কমিশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভিত্তি স্থাপনের দিন সাড়ে ছয় কোটি টাকার অনুদানের আশ্বাস মিলেছে জানিয়ে রেজাউল করিম আজাদ বলেন, “ভূমিমন্ত্রী পাঁচ কোটি টাকা, চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক ও ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান এম এ মালেক পরিবার এক কোটি টাকা, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের দাতা সদস্য এস এম আবু তৈয়ব ১০ লাখ টাকা, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকাসহ বেশ কয়েকজন অনুদান দিচ্ছেন।”

১৯৭৯ সালে নগরীর আগ্রাবাদে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল’ যাত্রা শুরু করে।

বর্তমানে এই হাসপাতালের মোট শয্যা ৬৫০টি। এখানে একটি জেনারেল হাসপাতাল, একটি মেডিকেল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র আছে।

২০১৫ সালে চালু হওয়া হাসপাতালটির ক্যান্সার বিভাগে বর্তমানে ১০টি শয্যা আছে এবং বহির্বিভাগে দৈনিক ৩০ জন রোগী সেবা নেন। এখানে কেমোথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। ২০২০ সালে সেবা নিয়েছে মোট এক হাজার ৬০৬ জন ক্যান্সার রোগী।

বৃহস্পতিবার ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিচার্স ইনইস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক সাংসদ সাবিহা মুসা, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, ক্যান্সার হাসপাতালটির প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ, ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব ও মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন দাতা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।