পোর্ট কানেক্টিং রোডে কার্পেটিং শুরু

বন্দর নগরীর বহুল আলোচিত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোডের সাগরিকা মোড় থেকে কলকা মোড় অংশের কার্পেটিং কাজ শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2020, 04:05 PM
Updated : 26 Nov 2020, 04:05 PM

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বৃহস্পতিবার সকালে এই কাজ উদ্বোধন করে বলেন, “চট্টগ্রামের লাইফলাইন বলে খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি। গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার অধিবাসীদের নিদারুণ কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

“এই পিসি রোডের মোট ছয় কিলোমিটার এর মধ্যে এখন সাগরিকা হতে কলকা মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্ছে। বাকি চার কিলোমিটার কলকা হতে তাসফিয়া পর্যন্ত অংশেও কার্পেটিং করা হবে।”

প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন। এই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে ঘোষণা দেন সুজন।

এসময় তিনি নির্মাণকাজ চলাকালে ধুলাবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন এক ঘণ্টা অন্তর প্রকল্প এলাকায় পানি ছিটাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

সুজন বলেন, “নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই। পরে গিয়ে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পার্কিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে। আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

“তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন। করপোরেশনও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে। সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজটসহ কোন ধরনের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করপোরেশন চুল পরিমাণও ছাড় দেবে না।”

এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার নগরীর চকবাজার কেবি ফজলুল কাদের রোড ও পাঁচলাইশ থানার মির্জাপুল এলাকার ফুটপাত ও রাস্তার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী রেখে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি করায় ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সিসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।