বাঘের দুই ছানার মৃত্যুর পর আরেকটিকে বাঁচানোর চেষ্টা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জন্ম নেওয়া বাঘের তিনটি ছানার দুইটি মায়ের দুধ না পেয়ে মারা গেছে। সঙ্কটাপন্ন আরেকটিকে ফিডারে দুধ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2020, 07:24 AM
Updated : 26 Nov 2020, 07:24 AM

গত নভেম্বর রাতে জয়া নামের একটি বাঘিনী তিনটি শাবকের জন্ম দেয় বলে ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎক শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শাবকগুলোকে মা দুধ খেতে না দেওয়ায় পরদিন একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরেকটি ছানা মারা যায়।

“বেঁচে থাকা অন্য ছানাটিকে হাতে ধরে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। সেটি আগের চেয়ে ভালো, তবে এখনও সংকট কাটেনি।”

চিকিৎসক শুভ জানান, যে বাঘিনী শাবকগুলো জন্ম দিয়েছে সেটার জন্মও চিড়িয়াখানায়।

বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুইটি বাঘ ও চারটি বাঘিনী রয়েছে।

২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।

২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দু্টি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা।

পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটি ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেয়া হয় ‘জয়া’।   

এই জয়া গত ১৪ নভেম্বর তিনটি শাবকের জন্ম দেয়।

অল্প কিছুদিনের মধ্যে শুভ্রারও ছানা জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান চিকিৎসক শুভ।

এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বাঘিনী পরী দুইটি ছানার জন্ম দেয়। পরদিনই একটির মৃত্যু হয়। বেঁচে থাকা ছানাকে প্রথমে ইনকিউবেটরে এবং পরে তিন মাস পর্দাঘেরা খাঁচায় নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়।

সুস্থ হয়ে ওঠার পর খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া ছানাটির নাম রাখা হয় মহামারীর সঙ্গে মিলিয়ে ‘করোনা’।