সহায়ক পরিষদ নিয়ে নির্দেশনার অপেক্ষায় সুজন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালনায় সহায়ক পরিষদ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2020, 04:46 PM
Updated : 9 August 2020, 04:46 PM

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার জবাব এখনও আসেনি বলে রোববার জানিয়েছেন সুজন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“মন্ত্রণালয় যদি মনে করে সহায়ক পরিষদ গঠন করা দরকার, সেটা তারা নির্দেশনায় জানাবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

৫ অগাস্ট সিসিসি’র পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। এর একদিন আগে প্রশাসক পদে সুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৬ অগাস্ট তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মেয়রের সঙ্গে নির্বাচিত ৪১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৪টি সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মেয়াদও ৫ অগাস্ট শেষ হয়।

এরপর থেকে সদ্য সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কোনোরকম দাপ্তরিক কাজ না করতে সিসিসি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একারণে ওয়ার্ড কার্যালয়গুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম থমকে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন বলেন, “শনাক্তকরণ, জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দেওয়া দৈনন্দিন কাজ। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর একাজগুলো কারা কিভাবে করবেন সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।”

সহায়ক পরিষদ গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে।

এমনকি সদ্য বিদায়ী একাধিক কাউন্সিলর জানিয়েছেন, নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দারা দৈনন্দিন কাজে যোগাযোগ করলেও তারা কোনোরকম কাজ করছেন না।

এদিকে রোববার সিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা কালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে (সহায়ক পরিষদ গঠন) বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ সহায়ক পরিষদে নিজের অন্তর্ভুক্তির কল্পিত তথ্য তুলে ধরছেন যা অনভিপ্রেত ও অনৈতিক। যারা এসব করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

শনিবার ঢাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন প্রশাসক সুজন।

ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলকরণ ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিমকেও দেখতে যান সুজন।

রোববার ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সরকারি বাসভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রশাসক সুজন। এরপর সন্ধ্যায় তিনি চট্টগ্রামে ফেরেন।

সুজন বলেছেন, নতুন করে নগরীতে বিলবোর্ড স্থাপন ও সড়কে কোনো তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। তোরণ নির্মাণের আগে সিসিসির অনুমতি নিতে হবে।