কোভিড-১৯: সাইফুল আলমের মা ও ছেলেও আক্রান্ত

দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা ও ছেলেরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2020, 07:34 AM
Updated : 24 May 2020, 09:24 AM

শনিবার বিআইটিআইডির ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাইফুলের মা চেমন আরা বেগম (৮৫) এবং ছেলে ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের (২৬) করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে বলে তার ভাগ্নে আরিফ আহমেদ জানান।

পরীক্ষার ফল জানার পর দুইজনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পারিবারের ঘনিষ্ঠদের কাছে জানা গেছে।

গত ১৭ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাইফুল আলম মাসুদের পাঁচ ভাই এবং একজনের স্ত্রীর সংক্রমণ ধরা পড়ে।

তাদের মধ্যে বড়ভাই এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।

বাকি ভাইদের মধ্যে এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু, পরিচালক রাশেদুল আলম, শহীদুল আলম, ওসমান গণি এবং তাদের এক ভাইয়ের স্ত্রী ফরাজানা বেগম এখন চিকিৎসাধীন।   

এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাইফুল আলম মাসুদের মা-ভাইরা নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার এক নম্বর রোডে এস আলম হাউজে থাকেন।

গত ১৭ মে ছয়জনের সংক্রমণ ধরা পড়লে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাড়ি অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়। পরে এস আলম হাউজের বেশ কয়েকজন পরিচারিকাও আক্রান্ত বলে খবর আসে।

সাইফুল আলম মাসুদও তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মা-ভাইদের সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকেন। তবে মার্চের মাঝামাঝি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর এখনও সেখানেই আছেন বলে জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন।

ইস্পাত, চিনি, ভোজ্যতেল, ভোগ্যপণ্য, পরিবহন,, আবাসন, সিমেন্ট খাত, শিপিং, বিদ্যুৎ এবং আর্থিক খাতে ছড়িয়ে আছে এসএলম গ্রুপের ব্যবসা। দেশে অন্তত ছয়টি ব্যাংকের মালিকানার অংশ রয়েছে এই পরিবারের সদস্যদের হাতে।

সাইফুল আলম নিজে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এই ব্যাংকের একজন পরিচালক।

একুশে টেলিশভিশনের মালিকানাতেও রয়েছে এস আলম গ্রুপ। সাইফুল আলম মাসুদ এ টেলিভিশনের চেয়ারম্যান।
কোম্পানির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এস আলম গ্রুপের বার্ষিক টার্নওভার ১৪ হাজার কোটি টাকা। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।