সাতকানিয়ার পর এবার বাঁশখালীও অবরুদ্ধ

নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাতকানিয়ার পর এবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় উপজেলা হিসেবে বাঁশখালীকেও অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2020, 03:52 PM
Updated : 17 April 2020, 03:52 PM

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত উপজেলা কমিটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাঁশখালীকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের উপজেলার পাশেই সাতকানিয়া উপজেলায় কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। 

“আশপাশের সাতকানিয়া, আনোয়ারা, লোহাগাড়া, পেকুয়া ও চকরিয়ার সাথে সীমান্ত ও সড়ক যোগাযোগ আছে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন করা হয়েছে।” 

এই পাঁচ উপজেলার মধ্যে পেকুয়া ও চকরিয়া কক্সবাজার জেলার অধীন। এই পাঁচ উপজেলার সাথেই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করা হবে। 

জরুরি সেবা ও খাদ্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে জানিয়ে ইউএনও বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গণপরিবহন উপজেলার বাইরে যেতে বা আসতে পারবে না। 

এই উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয় মঙ্গলবার। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত চিকিৎসক কাতালগঞ্জ এলাকায় থাকতেন। 

তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বাঁশখালীর উপজেলার বৈলছড়ি এলাকার গ্রামের বাড়ি লকডাউন করা হয় বুধবার। 

চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম বুধবার সাতকানিয়া উপজেলাটি লকডাউন করা হয়। এ পর্যন্ত সাতকানিয়ায় ৮ জন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছেন। 

তাদের মধ্যে ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি আলীনগর এলাকার বাসিন্দা ছয় জন, যাদের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার করোনাভাইরাস পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। 

এর মধ্যে বৃহস্পতিবারও নগরী থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী বেশকিছু যানবাহনে চড়ে লোকজনের বাড়ি ফেরার প্রমাণ পায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।