বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, “জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা স্পষ্ট। এর মধ্যে একটি হল বিএনপির অনেক প্রার্থী এখনও জেলে।
“এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বহু মনোনীত প্রার্থী বিশেষ করে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে।”
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদালতে দোষী সাব্যস্ত না হলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। এখন সরকার আইনের ‘অপব্যাখ্যা’ দিয়ে উনাকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করছে।
“এজন্য আপিলের ব্যবস্থা আছে। সরকার সেটাও অমান্য করছে। নতুন নতুন আইন দেখাচ্ছে। দেশনেত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রেখে তারা নির্বাচন করতে চায়।”
আমীর খসরু বলেন, জনগণ নির্বাচিত সরকারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী, মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনের পক্ষে।
“আর গণতন্ত্রবিরোধীরা অন্য দিকে। মানুষ গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার পক্ষেই অবস্থান নেবে।”
হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার বলেছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।
হাই কোর্টের ওই আদেশে দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আপিল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আটকে গেছে।
হাই কোর্টের আদেশটি আপিল বিভাগও বহাল রেখেছে।