সোমবার বন্দর থানার পুরাতন পোর্ট মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সুমনা আক্তার ওই এলাকার ঘাষফুল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল। আহত পিংকী আক্তারও একই স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদের সমাপনী পরীক্ষায় সিট পড়েছে নিমতলা মকবুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে সুমনা ও পিংকীকে বহনকারী রিকশাকে একটি টমটম (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) ধাক্কা দেয়।
আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক সুমনাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান আলাউদ্দিন।
“এতে রিকশার এক্সেল ভেঙে তারা দুজন রাস্তায় পরে যায়। পিংকীর পা ভেঙে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে সুমনার মৃত্যু হয়েছে।”
পোর্ট কলোনি তিন নম্বর রোডের রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারের ট্রাকচালক বাবর উদ্দিনের মেয়ে সুমনা ছিল তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে মেজ। তাদের বাড়ি সন্দ্বীপের রহমতপুর এলাকায়।
সুমনার খালু মো. জসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মেয়ে আর সুমনাসহ পাঁচজন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। তাদের দুটো রিকশা ঠিক করে দিয়েছিলাম।
“সুমনা আর পিংকী ছিল এক রিকশায়। টমটম ধাক্কা দেওয়ার পর ওরা রিকশা থেকে পড়ে যায়। অন্য রিকশার চালক এসে তাদের রাস্তা থেকে তুলে বন্দর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়।”
ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় টমটমটি আটক করে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে যায়।
ঘাসফুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসমিয়া বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পড়াশোনা করে। এবার আমাদের ৫৫ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক সমাপনী দিচ্ছে।”