মারা গেছে হিমু হত্যা মামলার আলামত শেষ কুকুরটি

চট্টগ্রামে ছয় বছর আগে কুকুর লেলিয়ে শিক্ষার্থী হিমাদ্রী মজুমদার হিমু হত্যা মামলার আলামত শেষ কুকুরটির মারা যাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনটি কুকুরই মারা গেল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2018, 02:14 PM
Updated : 20 August 2018, 02:14 PM

সোমবার রোটেলার প্রজাতির কুকুরটি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদৎ হোসেন শুভ।

চিকিৎসক শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জার্মানির রোটেলার প্রজাতির কুকুরগুলোর গড় আয়ু ১০ বছর। চিড়িয়াখানায় রাখা কুকুরটি বয়সের কারণে মারা গেছে।”

হিমু হত্যা মামলার পর পর আদালতের নির্দেশে যে তিনটি কুকুর লেলিয়ে হিমুকে হত্যা করা হয় সেগুলো আলামত হিসেবে গ্রহণ করে চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল।

চিকিৎসক শুভ বলেন, ২০১২ সালের ২৫ মে কুকুরগুলো চিড়িয়াখানায় আনা হয়। এর দুইদিন পর ২৭ মে ও ৬ অক্টোবর দুইটি কুকুর মারা যায়। সর্বশেষ কুকুরটি সোমবার মারা যায়।

রোটেলার প্রজাতির কুকুরটি বিশ্বের দ্বিতীয় হিংস্র প্রজাতির কুকুর বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল বন্দরনগরীর পাঁচলাইশ এলাকার সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে হিমুকে ধরে নিয়ে যায় আসামি শাওন, রিয়াদ, সাজু এবং ড্যানি।

ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সদ্য  ‘এ’ লেভেল পাস করা হিমুর বয়স তখন ১৮ বছর।

আসামিরা তাকে ধরে পাঁচলাইশ এলাকায় রিয়াদের বাবা ব্যবসায়ী টিপুর বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে মারধরের পর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে। হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ওই বছরের ২৩ মে মৃত্যু হয় হিমুর।

এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদি হয়ে শাওন, রিয়াদ, সাজু ও ড্যানি ও রিয়াদের বাবা ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপুকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।

২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ৩০২/৩৪ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬ সালের ১৪ অগাস্ট আদালত পাঁচ আসামির সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ, তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।

মামলাটির আপিল শুনানি বর্তমানে উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে।