রোববার তাদের পক্ষে জামিন আবেদন নাকচ করে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরা হলেন- ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুছা ও তার সহযোগী রাসেল, মাসুদ, মুরাদ, তৌহিদুল আলম, মো. মিঠু, নবী ও জানে আলম।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিল। সেখান থেকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
“রোববার তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।”
ক্যাবল ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের চকবাজার থানার পশ্চিম বাকলিয়া চাঁনমিয়া মুন্সী লেইনের কালাম কলোনীর মুখে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় চকবাজার থানার যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, এমদাদুল হক বাদশা নামে এক ব্যক্তিসহ তিনজন চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় কেসিটিএন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই দশক ধরে ক্যাবল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। মাস কয়েক আগে এম এ মুসা সেটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আসছে। ফরিদ বাদশার পক্ষের লোক।
হত্যাকাণ্ডের দিন রাতে চকবাজার থানায় ফরিদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় নয় জনের মধ্যে ফয়সাল ছাড়া সবাই জামিনের আবেদন করেছিল।