শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম র্যাম্পটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় আবদুচ ছালাম বলেন, “চট্টগ্রামবাসীকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালনে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে এই ফ্লাইওভারের দুটি র্যাম্প চালু করা হল।
“ঈদুল আযহার আগেই বাকি র্যাম্পটিও উদ্বোধন করা হবে। এরপর স্বয়ংসম্পূর্ণ ফ্লাইওভারের সুফল ভোগ করতে পারবে চট্টগ্রামবাসী।”
এ সময় সিডিএ বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ও হাসান মুরাদ বিপ্লব, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১ জুন ফ্লাইওভারটির ষোলশহর দুই নম্বর গেইট অংশের এক হাজার মিটার দীর্ঘ একমাত্র লুপটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত চার লেনের আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের মার্চে।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারটির মূল অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
শুরুতে পাঁচ দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৬২ কোটি টাকা। পরে ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট এলাকায় নতুন একটি লুপ এবং জিইসি মোড় এলাকায় আরও একটি র্যাম্প যোগ হয়ে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯৮ কোটি টাকা।
সেই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে এ বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়। সিডিএর তত্ত্বাবধানে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-রেঙ্কিন (জেভি)।