বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সোমবার নগরীতে সিভিল সার্জন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠকে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার খরনদ্বীপ ইউনিয়নের শ্রীপুরের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রতন।
“তার মোবাইল থেকে ফোন করে বিকাশে টাকা চাওয়া হয়েছিল এবং পাঁচ হাজার টাকা পরিবারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল।”
এ ঘটনায় রতন দের স্ত্রী নেলী দে বোয়ালখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন বলে জানান ওসি হিমাংশু।
তিনি বলেন, ‘নিখোঁজের’ বিষয়টি শুনতে পেয়ে বোয়ালখালী থানা পুলিশের একটি দল রাঙ্গুনিয়া, চন্দ্রঘোনাসহ বেশকিছু জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। যে নম্বরে বিকাশের টাকা পাঠানো হয়েছিল সেখানো যোগাযোগ করার পর তারা জানিয়েছিল রতন তাদের কাছে নেয় এবং তার নম্বরটি ‘ক্লোন’ করে টাকা চাওয়া হয়েছিল।
“এদিকে সকালে রতন নিজেই ফোন করে ‘ঢাকা থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম আসছে’ বলে তার পরিবারকে জানালে পরিবার থেকে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে একেখান গেইট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে।”
ওসি বলেন, অসুস্থ ছেলেসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রতন কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পাশাপাশি তিনি ডায়বেটিস ও হৃদরোগেও ভুগছিলেন।
“সকালে একে খান এলাকায় রতন বাস থেকে নেমে অবস্থান করলেও তাকে ফোন করে অবস্থান জানতে চাইলে তিনি সঠিক কথা বলেননি। পরে আমাদের চোখে পড়ে যাওয়ায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।”
রতন স্বেচ্ছায় গা ঢাকা দিয়েছেন নাকি অন্য কিছু হয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা হিমাংশু।