গৃহকর পর্যালোচনা করতে মেয়রকে মনজুরের চিঠি

পুনর্মূল্যায়নের পর নতুন ধার্য গৃহকরের (হোল্ডিং ট্যাক্সে) কারণে জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে জানিয়ে বর্তমান মেয়রকে তা পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2017, 11:19 AM
Updated : 8 Oct 2017, 11:19 AM

রোববার দুপুরে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে পাঠানো চিঠিতে এই আহ্বান জানান মনজুর আলম।

এর আগে চট্টগ্রামের আরেক সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীও গত ৫ অক্টোবর চিঠি দিয়ে আগের হারে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন নাছিরকে।

রোববার মনজুর আলম যখন এ সংক্রান্ত চিঠি দিলেন এর ঘণ্টাখানেক আগেই ‘করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর দাবিতে নগরীতে মিছিল-সমাবেশ করে।

চিঠিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সাবেক মেয়র মনজুর আলম তার উত্তরসূরী মেয়র নাছিরের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি চট্টগ্রাম মহানগরের একজন অভিভাবক। মেয়র হিসেবে নগরীর ৬০ লাখ মানুষের দায়িত্ব আপনার উপর।

“আমি আপনার সমীপে একটি অনুরোধ করব, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে হোল্ডিং ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে এই পদ্ধতির কারণে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।”

চিঠিতে মনজুর আলম বলেন, “আপনি বৃহত্তর পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক। দলীয়ভাবে মনোনয়ন নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। একটু সজাগ দৃষ্টিতে যদি পর্যালোচনা করেন তাহলে এই শহরের বাসিন্দারা উপকৃত হবে। ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশন আয়তনের ভিত্তিতে ট্যাক্স আরোপ করছে।”

চিঠিতে নিজের মেয়াদের শুরুতে নগরীর এক লাখ ২৫ হাজার হোল্ডিংয়ের বিপরীতে মাত্র ১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা গৃহকর আদায় এবং মেয়াদের শেষ বছরে এক লাখ ৫৭ হাজার হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ১২০ কোটি টাকা গৃহকর আদায়ের তথ্যও তুলে ধরেন মনজুর আলম।

বর্তমানে সিসিসির ‘খরচ অনেক বেড়েছে’ উল্লেখ করে মনজুর বলেন, বেতন-ভাতা, বোনাস, রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ বিল ও উন্নয়ন মিলিয়ে বার্ষিক খরচ প্রায় ৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।

মনজুর আলম চিঠিতে বলেন, “ভবিষ্যত পরিকল্পনা যদি মাথায় রেখে ট্যাক্স ধার্য করেন তাহলে নগরবাসী আপনার ডাকে সাড়া দেবে বলে মনে হয়।”

সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাগরিক সেবা দেওয়া সিসিসির প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে নাছিরের উদ্দেশ্যে সাবেক মেয়র মনজুর চিঠিতে বলেন, “নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আপনি ৭০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠিয়েছেন।

“প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক বিধায় নগরীর রাস্তাঘাট ও অন্যান্য উন্নয়নের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা উনার নজরে আনলে সিসিসি বঞ্চিত হবে না বলেই আমার মনে হয়।” 

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর শুধু জলাবদ্ধতা ইস্যুতে কয়েকবার গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও সিসিসির অন্য কোনো বিষয়ে এতদিন বক্তব্য দেননি মনজুর আলম।

সবশেষ হোল্ডিং ট্যাক্স বিষয়ে নিজের রাজনৈতিক গুরু মহিউদ্দিনের পর এবার মনজুর আলমও মুখ খুললেন।

ইতিমধ্যে নগর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সভা করে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে।