ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চসিক-ওয়াসা চুক্তি

চট্টগ্রামের ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়াসা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2017, 11:30 AM
Updated : 11 May 2017, 11:30 AM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে এ চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ‘ড্রেনেজ সিস্টেম’ ও ওয়াসা ‘স্যানিটেশন সিস্টেম’ এর কাজ করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, যেভাবে পরিকল্পিতভাবে নগরী গড়ে তোলা প্রয়োজন সে ভাবে গড়ে তোলা হয়নি। একটি নগরীতে অবশ্যই সুয়ারেজ সিস্টেম ও পরিকল্পিত একটি ড্রেনেজ সিস্টেম থাকতে হয়। এর কোনোটিই চট্টগ্রামে নেই।

১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) মহাপরিকল্পনার মেয়াদ ছিল ২০ বছর। তবে তা বাস্তাবায়ন করা সম্ভব হয়নি।  

মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। কি কারণে এটি দিনের পর দিন প্রকট হয়ে উঠছে তা আমরা সবাই জানি।”

জলাবদ্ধতার জন্য একাধিক কারণের পাশাপাশি নগরবাসীকেও দায়ি করেন সিটি মেয়র নাছির।

তিনি বলেন, জলবদ্ধতার একটি কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন অন্যটি গ্রিন হাউসের প্রভাব। নগরীতে যারা বসবাস করে তারা কম দায়ী নয়। নগরীতে যে সমস্ত খালগুলো আছে সেগুলো দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ময়লা অবর্জনা ফেলে খালগুলো ভরাট করে ফেলা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ড্রেনেজ ও সেনিটেশন প্রকল্পের পাশাপাশি আরও দুইটি কাজ আছে এখানে। এর একটি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (রান্না ঘর ও রাস্তাঘাটের ময়লা আবর্জনা) অন্যটি ফিকল স্লাজ কালেকশন (টয়েলেটের বর্জ্য সংগ্রহ)।

সিটি করপোরেশন সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করে থাকে এবং ফিকল স্লাজ কলেকশন করবে এবং ওয়াসা তা ট্রিটমেন্ট করবে।

ওয়াসা চেয়ারম্যান বলেন, সিডিএ যে মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছিল তা মোডিফাই করে ওয়াসা এ মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে। কারণ ওই সময়ের চট্টগ্রাম আর এখনকার চট্টগ্রাম এক না।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

সরকার অনুমোদন দিলে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামের এ ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে অন্তত ৭৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে বলে জানান ওয়াসা কর্মকর্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা ওয়াসার সাবেক পরিচালক ও চট্টগ্রামের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানের পরামর্শক খন্দকার আজাহারুল ইসলাম।