চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটে নৌকায় উঠতে গিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে তলিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে বাকলিয়া মন্দির ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধারের কথা জানান নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি মো. একরাম উল্লাহ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সকাল ৮টার দিকে নৌযান শ্রমিকরা বাকলিয়ার মন্দির ঘাট এলাকায় মো. বাহারুল আলম বাহারের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখেন। খবর দিলে আমরা গিয়ে উদ্ধার করি।”
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে একরাম বলেন, এরপর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নগরীর মাঝিরঘাট এলাকার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর এলাকায় বাড়িতে ফিরছিলেন ৬২ বছর বয়সী বাহার। ৫ নম্বর জেটির পাশে জেটি ঘাট থেকে নৌকায় উঠতে গিয়ে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে নদীতে পড়ে যান।
পাশেই একটি লাইটার জাহাজ দাঁড়ানো ছিল। নদীতে প্রবল জোয়ার থাকায় পানিতে পড়ার পরই তিনি দ্রুত লাইটারের নিচে তলিয়ে যাচ্ছিলেন। পানিতে বাহারের হাতে দেখা গেলেও তীব্র স্রোতের কারণে কেউ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি, বলছিলেন প্রত্যক্ষর্দ্শীরা।
তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে শুক্রবার দিনভর নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নদীতে তল্লাশি চালিয়েও বাহারের সন্ধান পায়নি। পরদিন শনিবার ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ভাটার সময়ে বাহারের লাশ পাওয়া যায়।
এই ব্যবসায়ী নগরীর মাঝিরঘাট এলাকার মেসার্স বিজয় শিপিং এন্ড ট্রেডিং এজেন্সি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। ভোলার দৌলতখান থানার ভবানিপুর গ্রামের বাহার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকায় পরিবার নিয়েছিলেন।
লাইটারেজ ঠিকাদার সমিতির কার্য নির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি। তার পণ্যবাহী ছোট আকারের জাহাজও (লাইটার) আছে।