কেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।
Published : 21 May 2024, 10:16 PM
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র দখল করা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ।
এই ঘটনায় অন্তত ১৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের এক কর্মীকে গুরুতর আহত করে বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’ (সিএফসি) কর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, আহত সালাহ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
মেডিকেল সেন্টারের সার্জিক্যাল টেকনিশিয়ান দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সালাহ উদ্দিনের বাম হাতের উপর গলার পাশে কোপ লাগায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত আরও ১৩ জন মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিজয় গ্রুপের কর্মীরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল আলমের (মোটর সাইকেল প্রতীক) পক্ষে এবং সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমানের (ঘোড়া প্রতীক) পক্ষে ল্যাবরেটরি স্কুলের কেন্দ্রটি দখলে চেষ্টা করেন।
সে সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।
তবে দুই পক্ষের নেতারা ভোটকেন্দ্র দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সিএফসি গ্রুপের নেতা আহসান হাবীব সোপান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমক বলেন, “স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে গ্রুপের সিনিয়র বা নেতাদের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে কিছু করলে তার দায়ভার সংগঠন নেবে না।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, “রব হলের সিএফসির কর্মীরা কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করছিল। এসময় সালাহ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তাদের নির্বাচনি বিষয়ে জড়িত না হওয়ার জন্য বলে। এরপরই সিএফসির কর্মীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে।”
এই ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। পরে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, “নির্বাচন কেন্দ্রিক বিশৃঙ্খলা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। গুরুতর আহত হওয়ায় একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
“যেহেতু সংঘর্ষটা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হয়েছে। তাই পুলিশ প্রশাসন বিষয়টা দেখবে। তবে সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর অস্ত্র হাতে দেখা গেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”