চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উপলক্ষে মাসব্যাপী পণ্য মেলা শুরু

মেলায় থাকছে কারু, চারু, হস্ত, ও মৃৎশিল্পসহ দূর-দুরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন শিল্পকর্ম, দ্রব্যাদি ও পণ্য

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2022, 02:13 PM
Updated : 1 Dec 2022, 02:13 PM

চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উপলক্ষে মাসব্যাপী পণ্য মেলা শুরু হয়েছে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে।

বৃহস্পতিবার বিকালে মেলা উদ্বোধন করেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা প্রগতিশীল মন-মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ সকলের কাছে একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

“সুদীর্ঘ ৩৪ বছরে চলার পথে দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তার গতি কখনো দুর্বার, আবার কখনও শ্লথ ছিল। বার বার শকুনের থাবা থেকে বাংলাদেশের শোষিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষকে রক্ষার জন্য স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে আদর্শিক পথ দেখিয়েছিলেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়িত করেছেন। আমরা ওনার হাতকে শক্তিশালী করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া পণ্য মেলায় থাকছে কারু, চারু, হস্ত, ও মৃৎশিল্পসহ দূর-দুরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন শিল্পকর্ম, দ্রব্যাদি ও পণ্য। থাকছে ‘বিশেষ শিশু’দের তৈরি পণ্যও।

বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন রাশেদ বলেন, “যখন বিজয় মেলা শুরু হয়েছিল তখন জয় বাংলা বলার অবস্থা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ম্লান করার চেষ্টা চলছিল। তখন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আমরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে শুরু করেছিলাম। তারপর সারাদেশে বিজয় মেলা শুরু হয়েছিল।

“স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাঠে নেমেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আজো বেঁচে আছি। পাকিস্তানপন্থীদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। প্রয়োজনে আবার লড়াই করব।”

মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোরশেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, পান্টু লাল সাহা, নৌ-কমান্ডো গোলাম জিলানি চৌধুরী, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মাহবুব উল আলম, গ্রুপ কমান্ডার নুরুদ্দীন আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, ফরিদ মাহমুদ, ১৪ দলীয় নেতা মিঠুল দাশ গুপ্ত, কাউন্সিলর নীলু নাগ, যুবলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, ডা. সেলিম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান স্কোয়াডের আহ্বায়ক বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন, মওলানা আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।