সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মনসুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীতে ৯টিসহ বিভিন্ন থানায় মোট ১৭টি মামলা আছে।
Published : 12 Nov 2024, 07:02 PM
বরগুনা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি চট্টগ্রামে গুলি ছুড়ে ডিমের আড়তের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত। পাশাপাশি এক সপ্তাহ আগে একটি রিকশা গ্যারেজে এক ব্যক্তিকে গুলি করে আহত করেছিলেন তিনি।
মনসুর আহমেদ (৪৫) বা ‘মনসুর ডাকাত’ নামে পরিচিত ওই ব্যক্তিকে বরগুনা সদর উপজেলার কাঠবুনিয়া এলাকা থেকে সোমবার ভোরে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে আনা হয়।
তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে খুলশী এলাকা থেকে একটি আগ্নোয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মনসুরকে এর আগে এক খুনের মামলায় ২০১৮ সালে একবার গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও তিনি অপরাধে জড়ান বলে পুলিশের ভাষ্য।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার (ক্রাইম) রইছ উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার মনসুর তার চার সহযোগীকে নিয়ে গত ২৩ অগাস্ট গভীর রাতে পাহাড়তলী বাজারে একটি ডিমের আড়তে গুলি ছুড়ে ৮০ হাজার টাকা লুট করেছিলেন।
ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমেও এসেছিল।
“এছাড়া গত ৪ নভেম্বর খুলশী থানার রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনিতে ত্রাস সৃষ্টির জন্য একটি অটোরিকশা গ্যারেজে গিয়ে গুলি করে একজনকে আহত করেন মনসুর,” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা রইছ।
তিনি বলেন, “এ ঘটনার পর মনসুর চট্টগ্রাম ছেড়ে বরগুনায় গিয়ে তার শ্বশুড় বাড়িতে আত্মগোপন করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর রাতে চট্টগ্রামের খুলশী থানা পুলিশ তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।
“তার দেওয়া তথ্যে খুলশী রেলওয়ে ক্যান্টিন সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখা একটি দেশে তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।”
উপ-কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালে পাহাড়তলী বাজারে রানা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ডিমের আড়তে ব্যবস্থাপককে খুনের মামলার অন্যতম আসামি এই মনসুর। ওই সময় পুলিশ তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল।
ওই মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়ে মনসুর আবার অপরাধে জড়ান বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
গত ২১ অক্টোবর ষোলশহর বেবী সুপার মার্কেট এলাকায় সোনা ছিনতাইয়ের একটি ঘটনায়ও মনসুর জড়িত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মনসুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীতে ৯টিসহ বিভিন্ন থানায় মোট ১৭টি মামলা আছে।
২০১৮ সালে মনসুরকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর সেলুনকর্মী থেকে ছিনতাইয়ে; এরপর খুনে
শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সেখানে সেলুন কর্মী থেকে কিভাবে মনছুর ছিনতাই এবং খুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছিল।
ওই সময় মনসুর পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সেলুনে কাজ করতেন তিনি, ২০০৭ সালের শেষের দিকে পাহাড়তলী এলাকায় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে প্রথমে চুরি করেন, এরপর ছিনতাইয়ে যোগ দেন। তিনি যে দলে যুক্ত তার নেতা হচ্ছেন কাজল নামের একজন।