বিস্ফোরক ইনিংসে নায়ক স্যান্টনার

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেদারল্যান্ডসকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে দুই হাতে কাজে লাগালেন মিচেল স্যান্টনার। খুনে ব্যাটিংয়ে খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে এনে দিলেন বড় জয়।

নেদারল্যান্ডসের দা হেগে শুক্রবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। ১৪৮ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ৩৬ বল হাতে রেখে।

এই সংস্করণে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৪২ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেলে কিউইদের নায়ক ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্যান্টনার। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি।

৬৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার আগের সেরা ছিল ৩৭, ২০১৮ সালে অকল্যান্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

স্যান্টনার মূলত স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তবে ব্যাট হাতে মাঝেমধ্যে দারুণ কিছু ইনিংস খেলতে দেখা যায় তাকে। যেমনটা দেখা গেল এদিন।

তার সঙ্গে ২৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংসে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ড্যারিল মিচেল। তৃতীয় উইকেটে দুই জনে ৬৫ বলে উপহার দেন অবিচ্ছিন্ন ১২৩ রানের জুটি।

তৃতীয় ওভারে মার্টিন গাপটিলের বিদায়ের পর উইকেট যান স্যান্টনার। দ্বিতীয় বলেই ছক্কায় ওড়ান টিম প্রিঙ্গলকে। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা।

ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি স্রেফ ২৯ বলে। মাঝে ৩৯ রানে একবার তার ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি বোলার প্রিঙ্গল। যদিও কঠিন ছিল সেটি।

জীবন পেয়ে দলের জয় নিয়ে ফেরেন স্যান্টনার। রায়ান ক্লেইনকে টানা দুই ছক্কার পর চার মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দেন তিনি।

এর আগে বাস ডে লেডের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে দেড়শর কাছাকাছি পুঁজি পায় ডাচরা। ৪৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রান করেন ডে লেডে।

নেদারল্যান্ডসে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ তে জিতে নিল নিউ জিল্যান্ড।

নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনেককে ছাড়া এবারের ইউরোপ সফরে সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে ১১ ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতল কিউইরা; আয়ারল্যান্ডে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৬-০, স্কটল্যান্ডে ৩-০, এবার নেদারল্যান্ডসে ২-০।

পরের সিরিজে আগামী ১১ অগাস্ট কিংসটনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে পূর্ণশক্তির নিউ জিল্যান্ড দল।