রাশিদ-নাবির দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আফগানিস্তানের জয়

চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর ফিরে টানা দুই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিলেন রাশিদ খান, বয়সের সঙ্গে যেন আরও উজ্জ্বল মোহাম্মদ নাবি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2024, 05:03 AM
Updated : 18 March 2024, 05:03 AM

আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করলেও তা যথেষ্ট হয়নি দলের জয়ের জন্য। এবার তাই যেন নিজেকে আরও ছাড়িয়ে গেলেন রাশিদ খান। তার বোলিং হলো আরও ক্ষুরধার, ব্যাট হাতেও খেললেন কার্যকর ক্যামিও। অধিনায়কের এমন পারফরম্যান্সের সঙ্গে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নাবির অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আগের ম্যাচের হারকে পেছনে ফেলে জয়ে ফিরল আফগানিস্তান।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল আফগানিস্তান।

আফগানদের এই জয়ের নায়ক রাশিদ। ব্যাটিংয়ে ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংসের পর বোলিংয়ে ১৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যান অব দা ম্যাচ এই লেগ স্পিন তারকা।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ৩১ টি-টোয়েন্টি পর ৪ উইকেটের স্বাদ পেলেন রাশিদ। সবশেষটি ছিল ২০২১ সালের অক্টোবরে। পরের সময়টায় যথারীতি দারুণ বোলিংয়ে ধারাবাহিক হলেও এক ম্যাচে ৪ উইকেট ধরা দিচ্ছিল না। অবশেষে দলকে জিতিয়ে সেই খরাও কাটালেন।

চোট কাটিয়ে চার মাস পর তিনি ফিরেছেন যেন আরও ধারাল হয়ে। ফেরার পর দুই ম্যাচে উইকেট নিলেন ৭টি।

এই জয়ে নাবির কৃতিত্বও কম নয়। বিশেষ করে, দলের চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ব্যাট হাতে তিনি খেলেছেন ৩৮ বলে ৫৯ রানের মহামূল্য ইনিংস। পরে বোলিংয়ে ৩ ওভারে ১৪ রানে তার প্রাপ্তি ১ উইকেট।

এই ম্যাচে ফিফটির পথে দারুণ এক মাইলফলকের দেখাও পেয়েছেন নাবি। মোহাম্মদ শাহজাদকে (২০৪৮) পেছনে ফেলে আফগানদের হয়ে এই সংস্করণে রানের চূড়ায় এখন ৩৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার (২১০৩)।

শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে যায় আফগানিস্তান। মার্ক অ্যাডায়ার ও জশ লিটলের দারুণ বোলিংয়ে তারা ১৪ রানেই হারায় ৪ উইকেট।

ওপেনার সেদিকউল্লাহ আটালকে সঙ্গে নিয়ে সেই বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করেন নাবি। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন  ৫৬ বলে ৭৮ রান।

৩২ বলে ৩৫ রান করে সেদিকউল্লাহর রান আউটে ভাঙে এই জুটি।

দলকে শতরান পার করিয়ে থামেন নাবি। তার ৫৯ রানের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ৩ ছক্কা।

পরে ৯ নম্বরে নামা রশিদ খানের ৩ চার ও ১ ছক্কার ক্যামিওতে ১৫২ রানে পৌঁছায় আফগানিস্তান।

অ্যাডায়ার নেন তিন উইকেট, লিটল ও ব্যারি ম্যাককার্থি দুটি করে।

রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ৪ ওভারে ৪৩ রান তুলে ফেলেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টার্লিং। তবে এরপর পথ হারায় তারা।

১৫ বলে ২৪ রান করা স্টার্লিংকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন নানগেলিয়া খারোটে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।

রাশিদ টানা দুই বলে ফেরান লর্কান টাকার ও হ্যারি টেক্টরকে। বিপজ্জনক কার্টিস ক্যাম্পারকে বিদায় করেন নাবি। একপ্রান্ত আগলে রাখা বালবার্নি শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৪৫ করে আউট হন খারোটের বাঁহাতি স্পিনে।

রাশিদ যখন নিজের শেষ ওভারে শিকার করেন আরও দুই উইকেট, ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে পড়ে আয়ারল্যান্ড।

তবে হাল ছাড়েননি গ্যারেথ ডেল্যানি। ৩ ওভারে যখন প্রয়োজন ৫১ রান, ফাজালহাক ফারুকির এক ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে তিনি রান নেন ২২।

চেষ্টা করে যান তিনি পরের দুই ওভারেও। তবে একার লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি। শেষ ওভারে ফারুকিকে আরও একটি ছক্কা মেরে তার ইনিংস থামে ১৮ বলে ৩৯ রানে। আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ১৪২ রানে।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ সোমবার শারজাহতেই।